নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

অনলাইনে আমদানি রফতানি কার্যক্রম শুরু, কমবে হয়রানি।

আমার দেশ ২৪
আমদানি বা রফতানিকারক পণ্য খালাসে বিভিন্ন পণ্যের জন্য প্রায় ১৯ টি প্রতিষ্ঠানের অনুমতি লাগতো। আর সেই অনুমতির জন্য আমদানি বা রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের অনুমতি নিতে ব্যাপক হয়রানি বা নাজেহাল হতে হতো। সেই নাজেহালের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য জাতীয় সিঙ্গেল উইন্ডো (এনএসডাব্লু) অনলাইন প্লাটফরমের মাধ্যমে সেবা শুরু করেছে। অর্থাৎ এক ওয়েব ট্যাবে সকল সংস্থাকে যুক্ত করে প্রতিষ্ঠানকে হয়রানি বা নাজেহাল হওয়া ছাড়াই সেবা মেলা শুরু করেছে।
আজ রোববার  সকাল থেকে ঢাকা কাস্টমস হাউজে এ সেবা শুরু হয়েছে। এদনি সকাল ১১ টায় কাস্টমস হাউসে ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো প্রকল্পের পরিচালক জুয়েল আহমেদ এই সেবা উদ্বোধন করেন ঢাকা।
এ সময় তিনি বলেন, এ সিস্টেমের মাধ্যমে আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকরা একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দিয়ে লাইসেন্স ও পারমিট পেতে পারবেন। জমা দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ইস্যু করা প্রশংসাপত্রের মাধ্যমে পণ্য দ্রুত খালাস করা সম্ভব হবে।
ঢাকা কাস্টমস হাউসের কমিশনার মোঃ জাকির হোসেন বলেন, সিঙ্গেল উইন্ডো বা সিঙ্গেল প্রসেস সত্যিই ব্যবসা উন্নত করবে এবং পরিবেশ ডিজিটালে রূপান্তর করবে। সিস্টেম এবং প্রক্রিয়া উন্নত করেছে। এখন থেকে ব্যবসায়ীরা এ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অনলাইনে আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত সবপ্রকার লাইসেন্স এবং পারমিট পেতে পারবেন। ফলে, কাগজপত্র সংগ্রহের জন্য আর অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।
এ ছাড়া আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাকি ১৫টি সংস্থাকে বিএসডব্লিউয়ের আওতায় আনা হবে। এর ফলে পুরো সিস্টেমটি সম্পূর্ণরূপে চালু হবে। এ সিস্টেমের মাধ্যমে আমদানিকারক ও রফতানিকারকরা তথ্যের ভিত্তিতে ইস্যু করা প্রশংসাপত্রের মাধ্যমে পণ্য দ্রুত খালাস করা সম্ভব হবে। সিস্টেমটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত সব সংস্থার জন্য একটি ইন্টারনেটভিত্তিক তথ্য উইন্ডো সরবরাহ করবে।
তিনি বলেন, একবার সিস্টেমটি পুরোপুরি চালু হলে আমদানি-রফতানির প্রক্রিয়া সহজতর হবে, বন্দর থেকে পণ্য ছাড়পত্র দ্রুত সম্পন্ন হবে এবং ব্যবসা করার খরচ কমবে।
বিএসডি কি: এটি  মূলত একটি অনলাইন প্লাটফর্ম, যা ব্যবহার করে একজন আমদানিকারক-রপ্তানিকারক পণ্য খালাসের জন্য প্রযোজ্য সব ধরনের সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট এর জন্য (সিএলপি) অনলাইনে আবেদন করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংগ্রহ করতে পারবেন। সিএলপি গ্রহণের পূর্বে বিজনেস আইডিন্টিফিকেশন নম্বর (বিআইএন) ব্যবহার করে বিএসডাব্লু সিস্টেমে ((Website: bswnbr.gov.bd)) নিবন্ধন করতে হবে।
এ সিস্টেম ব্যবহারের ফলে আমদানি-রফতানি কার্যক্রমে যে সুবিধা সমূহ পাওয়া যাবে সেগুলো হলো:একটি কমন প্লাটফর্মে আমদানি-রফতানি পণ্যের জন্য প্রযোজ্য সার্টিফিকেট, লাইসেন্স এবং পারমিট সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা কর্তৃক যুগপৎভাবে অনলাইনে সম্পন্ন করা হবে। সরকারি কাজে ব্যক্তিগত যোগাযোগ (হিউম্যান ইন্টারেকশন) না থাকায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। পণ্য আমদানি-রফতানি ক্ষেত্রে সময় ও ব্যয় হ্রাস পাবে। দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থা সৃষ্টির মাধ্যমে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।
প্রাথমিক পর্যায়ে সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট ইস্যুকারি ১৯টি সংস্থার মধ্যে নিম্নবর্ণিত ৭টি সংস্থার ক্ষেত্রে রোববার সরাসরি বিএসডাব্লু সিস্টেমের মাধ্যমে সিএলপি এর আবেদন দাখিল ও ইস্যু করার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এগুলো হলো ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর, বিস্ফোরক পরিদফতর, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো, বাংলাদেশ জাতীয় কর্তৃপক্ষ, রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন,  বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ এবং পরিবেশ অধিদফতর ।
কাস্টমসের কর্মকর্তারা জানান, আমদানি ও রফতানি পণ্যচালান শুল্কায়নের ক্ষেত্রে এই ৭টি সংস্থার ইস্যুকৃত সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট মাধ্যমে দাখিল বাধ্যতামূলক। এখন থেকে আর কোন ধরনের ম্যানুয়াল সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট গ্রহণ করা হবে না।
ঢাকা কাস্টমস হাউজ এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি খায়রুল আলম ভুঁইয়া বলেন, এই অনলাইন প্লাটফর্মের কারণে আমাদানি- রফতানি প্রতিষ্ঠানের হয়রানী কমবে। আগে বিভিন্ন দফতরে গিয়ে গিয়ে পারমিট ও ক্লিয়ারেন্স আনতে হতো। আর এখন অনলাইনে আবেদন করলেই সেটি পাওয়া যাচ্ছে। এতে হয়রানি, সময় কমবে পাশাপাশি পণ্য দ্রুত খালাসে গতি আসবে।

আরও পড়ুন