আমারদেশ24.comশ
নিবার১৪ ডিসেম্বর২৪
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিদেশী অপারেটরেরা প্রকল্পটিতে টার্মিনালের অবকাঠামো নির্মাণ এবং পরিচালনার ব্যাপারে আগ্রহী হলেও কেউই চ্যানেল খনন এবং ব্রেকওয়াটার নির্মাণে বিনিয়োগে আগ্রহী নয়। এক্ষেত্রে এগিয়ে আসে বিশ্বব্যাংক। গত জুন মাসে বিশ্বব্যাংক ৬৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করে। এই ঋণের জন্য চুক্তি সম্পাদন আগামী মাস দুয়েকের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে। তবে চুক্তি সম্পাদনের আগে অবশ্যই প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন করতে হবে।
আগামী মাসেই প্রকল্পের চ্যানেল খনন ও ব্রেকওয়াটার নির্মাণ কাজ একনেকে অনুমোদিত হবে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।বে টার্মিনাল প্রকল্প নিয়ে গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকায় উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ মন্ত্রণালয় এবং বন্দরের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে অংশ নেয়া একটি সূত্র জানায়, উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বে টার্মিনাল প্রকল্পের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এতে প্রকল্পটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং দেশের স্বার্থেই জরুরি ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা দরকার বলে সকলে একমত হয়েছেন। সরকারের আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এই বৈঠক থেকে আগামী ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের ডিপিপি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন এবং জানুয়ারির প্রথমার্ধের মধ্যে একনেকে উপস্থাপনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
বে টার্মিনাল প্রকল্প সম্পর্কে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান ঢাকায় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাংক ইতোমধ্যে ৬৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে।
সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করার পরিকল্পনা করলেও কিছু বিলম্ব হয়েছে। চুক্তি দ্রুত চূড়ান্ত করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আগামী মাসে একনেকের অনুমোদন পাওয়ার পর আগামী বছরেই প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হবে বলেও ফাওজুল কবির খান সাংবাদিকদের জানান।
উল্লেখ্য, বিদ্যমান চট্টগ্রাম বন্দর একটি জোয়ার ভাটা নির্ভর নদীকেন্দ্রিক ফিডার পোর্ট। এই বন্দরে শুধুমাত্র দিনের জোয়ারে ১৯০ মিটার দৈর্ঘ্য, ৯.৫ মিটার ড্রাফটের জাহাজ বার্থিং দেয়া যায়। মাঝারি আকৃতির এসব জাহাজ সর্বোচ্চ ২৪০০ টিইইউএস কন্টেনার বহন করতে পারে।
তবে, বে টার্মিনাল নির্মিত হলে ৩০০ মিটার দৈর্ঘ্যের, সাড়ে ১১ থেকে ১২ মিটার ড্রাফটের জাহাজ রাতে দিনে যখন তখন বার্থিং নিতে পারবে। এই ধরনের জাহাজ ৫ হাজার টিইইউএস কন্টেনার পরিবহন করতে পারে। চট্টগ্রাম বন্দরে রাতের বেলা জাহাজ চলাচল (নাইট নেভিগেশন) বন্ধ রাখতে হয়।
বে টার্মিনাল এই সীমাবদ্ধতা থেকে মুক্ত থাকবে। এতে বন্দরে আসা জাহাজের অহেতুক সময় ক্ষেপন থাকবে না। জাহাজে বেশি কন্টেনার হ্যান্ডলিং করার সুবিধা, পণ্য পরিবহন খরচ বহুলাংশে কমিয়ে দেবে বলেও বিশেষজ্ঞ সূত্রগুলো জানিয়েছে।