নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

আন্দোলনে আহত ১০০ জন পুলিশের চাকরি পাচ্ছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

 ছাত্র আন্দোলনে আহত ১০০ জনকে পুলিশে নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, আমরা আপাতত ১০০ জনকে দিয়ে শুরু করছি। পরে সংখ্যা আরও বাড়াবো।আজ মঙ্গলবার দুপুরে সিআইডির প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সিআইডিতে আজকে আমার একটা নরমাল ভিজিট ছিল। আমার সঙ্গে আইজিপি ছিলেন। আমরা অনেক বিষয়ে কথা বলেছি। আপনারা জানেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় অনেকে নিহত এবং আহত হয়েছে।
যারা আহত হয়েছেন তাদের কর্মসংস্থানের একটা ব্যবস্থা কিভাবে করা যায় সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। পুলিশের পক্ষ থেকে আমরা এই বিষয়ে একটা প্রপোজাল পাঠিয়েছি। যারা আহত হয়েছে তাদেরকে পুলিশে চাকরি দেওয়ার বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, সবাইকে তো আর নেওয়া যাবে না তবে একেক জন একেক ভাবে আহত হয়েছেন। তবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আহতদের মধ্যে কিছু জনকে আমরা পুলিশ বাহিনীতে নিব। আমরা দ্রুত এই বিষয়ে কার্যক্রম শুরু করব।

আমরা আপাতত ১০০ জন আহতকে দিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি পরবর্তীতে আমরা এই সংখ্যাটা আরো বাড়াব। আমরা আপাতত পুলিশে শুরু করছি পরবর্তীতে আমরা আমার মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা সকল ডিপার্টমেন্টে এটা করে দিব।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ট্রাফিকের একটা সমস্যা রয়ে গেছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আমরা এক হাজার ছাত্রকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে প্রপোজাল পাঠিয়েছিলাম। এখন পর্যন্ত ৪০০ জন শিক্ষার্থী কে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা আরো একটি প্রপোজাল পাঠিয়েছিলাম যে বিভিন্ন বাহিনীতে যারা অবসরে গিয়েছেন তাদের নিয়োগ দিয়ে ট্রাফিক শৃঙ্খলায় নিয়োজিত করা।

তবে অবসরপ্রাপ্তরা এই বিষয়ে রেসপন্স খুব কম দিয়েছেন। আমি ভেবেছিলাম তারা অনেকে আসতে চাবে কিন্তু ওই রকম সংখ্যা আমরা পাইনি। তবে আমরা আপাতত ৫০-৬০ জনের মত পেয়েছি। তবে আমরা চেয়েছিলাম অন্তত ৫০০ জন দিয়ে শুরু করি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বিগত সরকারের আমলে সবথেকে বড় সমস্যা ছিল মানিলন্ডারিং। মানি লন্ডারিং নিয়ে আমি সিআইডি প্রধানকে সবথেকে বেশি ইন্সট্রাকশন দিয়েছি।

আমি সিআইডি প্রধানকে বলেছি তিনি যেন দ্রুত বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রিজার্ভ চুরির ঘটনার প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য। বিগত সরকারের আমলে মানিলন্ডারিং সবথেকে বেশি হয়েছে। আমি সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছি মানিলন্ডারিং এর মামলাগুলোর প্রতিবেদন যেন দ্রুত দেয়।

তিনি বলেন, তদন্তের নামে সময়ক্ষেপন লাভ নেই। আমি একটা রিপোর্ট চাই যে কারা কারা মানিলন্ডারিং এর সঙ্গে জড়িত সেটা আমি সিআইডিকে বলেছি। যদি তদন্তের নামে দুই তিন বছর চলে যায় তাহলে তো এটার কোন কার্যকারিতা থাকে না।

শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সঙ্গে ট্রাফিকিং এর বিষয়টা কেমন হবে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তারা যেন। তারা যেন পড়াশোনাও করতে পারে এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণেও কাজ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করেছি। তাদের একটা সম্মাননিও দেওয়া হচ্ছে। তারা রাস্তায় ২-৩ ঘণ্টা কাজ করবে।

আরও পড়ুন