আমারদেশ২৪ ডেস্ক:
ভূমিকম্পের আঘাতে বিধ্বস্ত মিয়ানমারে এখনো লাশ উদ্ধার হচ্ছে। মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজারে। আহত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। এর মধ্যে ‘মহাভূমিকম্প’ এবং সুনামির আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাপান। এতে তিন লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে দেশটি। আর্থিক ক্ষতি হতে পারে ২ লাখ কোটি ডলারের, যা সে দেশের মোট জিডিপির অর্ধেক!জাপান সরকারের বরাতে আজ বুধবার (২ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা।
বিজ্ঞানীদের অনুমান, ‘মহাভূমিকম্প’ হলে কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৮ থেকে ৯ হতে পারে।প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালে ৭ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল দক্ষিণ জাপানে। সেই ভূকম্পনের পরেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
জাপান সরকার রিপোর্টে উল্লেখ করে, সম্ভাব্য ‘মহাভূমিকম্প’র কারণে ১২.৩ লাখ মানুষ, অর্থাৎ সে দেশের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সেই মতেই নাকি তৈরি হচ্ছে ‘যুদ্ধের’ পরিকল্পনা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘নানকাই ট্রফ’ নামে সমুদ্রের তলদেশের একটি এলাকা হবে ‘মহাভূমিকম্পে’র সম্ভাব্য উৎস । ‘নানকাই ট্রফ’ হলো শিজুওকা থেকে কিউশু পর্যন্ত ৮০০ কিলোমিটার বিস্তৃত সমুদ্রতলের চ্যুতি। ২০২৪ সালের অগস্টে সমুদ্র-তলদেশের ওই এলাকা নিয়ে প্রথমবার সতর্কতা জারি করেছিল জাপান।