নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

আহত হয়েও চাঁদাবাজ নাফিজকে ধরে ফেলল এএসআই।

বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫

রাজধানীর ভাটারা থানা এলাকায় চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকারীকে ধরতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তবে আহত হওয়ার পরও পুলিশের ওই সদস্য চাঁদাবাজ মোবারক হোসেন নাফিজকে (২২) গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। আহত ওই পুলিশ সদস্য হলেন- ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ভাটারা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মেসবাহ উদ্দিন। এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় ভাটারা থানাধীন জে-ব্লক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, ওয়ারেন্টভুক্ত চিহ্নিত চাঁদাবাজ মো. মোবারক হোসেন নাফিজ তার কয়েকজন সহযোগী নিয়ে ভাটারা থানাধীন জে-ব্লক বারিধারা রোড নং ১/এ ফুটপাতের বিভিন্ন দোকান থেকে ভয় দেখিয়ে প্রকাশ্যে চাঁদা আদায় করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ভাটারা থানার এএসআই মো. মেসবাহ উদ্দিনসহ থানার টহল টিম দ্রুত সেখানে পৌঁছায়। চাঁদাবাজদের গ্রেফতারের চেষ্টাকালে গ্রেফতার নাফিজ এএসআই মেসবাহকে সুইচ গিয়ার চাকু ও হাতে থাকা স্টিলের কাটা চামচ দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এতে তিনি বাম চোখে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। আঘাতপ্রাপ্ত হওয়া সত্বেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালনে তিনি চাঁদাবাজ নাফিজকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
এসময় নাফিজের ৪ থেকে ৫ জন সহযোগী দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। গ্রেফতারের সময় নাফিজের কাছ থেকে একটি সুইচ গিয়ার চাকু, একটি স্টিলের রক্তমাখা কাটা চামচ, বিভিন্ন দোকান থেকে চাঁদাবাজির মাধ্যমে আদায়কৃত মোট এক হাজার ৭৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, আহত এএসআই মেসবাহকে প্রথমে বারিধারার স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হয়।
তিনি জানান, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম আহত এএসআই মো. মেসবাহ চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। তিনি তার এই সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্য তাকে বিপিএম (সাহসিকতা) পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা দেন। এছাড়া ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী এনডিসি এএসআই মো. মেসবাহ উদ্দিনের সাহসিকতাপূর্ণ কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তা অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের জন্য অনুকরণীয় বলে উল্লেখ করে তাৎক্ষনিক ২০ হাজার টাকা অর্থ পুরস্কার প্রদান করেন এবং তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
এদিকে, গ্রেফতার নাফিজসহ তার পলাতক অজ্ঞাতনামা সহযোগীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে ভাটার থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন আহত পুলিশ সদস্য মেসবাহ।

আরও পড়ুন