টঙ্গীর তুরাগ তীরে তাবলিগ জামাতের সবচেয়ে বড় জমায়েত বিশ্ব ইজতেমার প্রথমপর্ব আগামী ৩১ জানুয়ারি শুরুর ‘নিশ্চয়তা’ দিলেও দ্বিতীয় পর্বের আয়োজক সাদপন্থিদের জমায়েতের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।
তিনি বলেন, ‘৩১ জানুয়ারি থেকে প্রথম পর্যায়ের ইজতেমা হচ্ছে। সে বিষয়ে কোনো বাধা নেই। পুরোদমে প্রস্তুতি চলছে। তো আমাদের ১৭ তারিখের পর পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। ১৭ ডিসেম্বর হত্যাকাণ্ডের পরে হাত ও টঙ্গীর ইজতেমার মাঠ সাধারণ মুসল্লিদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে। তাদের আসলে সেখানে ইজতেমা করার কোনো নৈতিক অধিকার থাকে না।’
মামুনুল হক বলেন, ‘যদি হত্যাকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়, হত্যাকারী কীভাবে আবার ইজতেমা করে? সেটি প্রশাসনের কাছেই আমরা জানতে চাই।’ শনিবার দুপুরে ঢাকার কাকরাইল মসজিদে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রথম পর্বে ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি ইজতেমায় অংশ নেবেন বাংলাদেশের কাকরাইল মারকাজের মাওলানা জুবায়ের আহমদের অনুসারী ‘জুবায়েরপন্থিরা’ এবং দ্বিতীয় পর্বে ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি অংশ নেবেন দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারী ‘সাদপন্থিরা’। তাবলিগের দুই গ্রুপের চলমান বিবাদের মধ্যে গত ১৭ ডিসেম্বর রাতে সংঘর্ষে তিনজনের প্রাণহানির পর থেকে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।
‘গত ১৭ ডিসেম্বর রাতে সাদপন্থি কর্তৃক টঙ্গী ময়দানে অতর্কিত হামলা ও নৃশংস হত্যকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে এবং দাওয়াত ও তাবলিগের চলমান ইস্যুতে’ শনিবার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ‘জুবায়েরপন্থি’ ওলামায়ে-মাশায়েখরা-যারা নিজেদের ‘শুরায়ে নিজাম’ বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন। সংবাদ সম্মেলনে ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশ এবং দাওয়াত ও তাবলিগের সাথীদের পক্ষে ‘সাদপন্থিদের নিষিদ্ধের’ দাবি তুলে ধরে আগামী ১০ ও ২৫ জানুয়ারি নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন নাজমুল হাসান কাসেমী।