আমারদেশ২৪ ডেস্কঃ
শনিবার , ৮ মার্চ, ২০২৫
চট্রগ্রাম নগরীর মার্কেটগুলোতে শুরু হয়েছে ঈদের কেনাকাটা। বিশেষ করে ইফতারের পর থেকে ক্রেতা সমাগম বাড়ছে। ক্রেতারা পছন্দের পণ্য কেনার জন্য এক মার্কেট থেকে আরেক মার্কেটে ঢু মারছেন। বিক্রেতারা বলছেন, রমজানের প্রথম সপ্তাহে বেচাবিক্রি কিছুটা কম থাকে। এরপর থেকে পর্যায়ক্রমে ক্রেতা সমাগম বাড়তে থাকে। এখন মার্কেটে উপচে পড়া ভিড় নেই। তাই অনেক ক্রেতা ঝামেলাহীন কেনাকাটা করতে রমজানের প্রথম সপ্তাহে মার্কেটে আসেন।
গতকাল সরেজমিনে নগরীর টেরিবাজার, নিউমার্কেট বিপণি বিতান, রেয়াজুদ্দিন বাজার, তামাকুমণ্ডি লেইন, জহুর হকার্স মার্কেট, বালি আর্কেড, কেয়ারি ইলিশিয়াম, বালি আর্কেড, ফিনলে সাউথ সিটি, সেন্ট্রাল প্লাজা, মিমি সুপার মার্কেট, আফমি প্লাজা, ফিনলে স্কয়ার, শপিং কমপ্লেক্স, স্যানমার ওশ্যান সিটি, ইউনেস্কো সিটি সেন্টার, আমিন সেন্টার, ভিআইপি টাওয়ার, আখতারুজ্জামান সেন্টার, সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেট এবং মতি টাওয়ারের বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায়, বিক্রেতারা ঈদের সব ধরনের প্রস্তুতি সেরে রেখেছেন। সবার দোকান শো রুমে নিত্য নতুন কালেকশন আনা হয়েছে। অবসর সময়ে বিক্রেতাদের থরে থরে কাপড় সাজাতে দেখা গেছে।
নগরীর টেরিবাজারে একটি কাপড়ের দোকানের কর্মচারী আসিফ আহমেদ জানান, বেচাবিক্রি গত কয়েকদিন ধরে বেড়েছে। তবে মার্কেটে ভিড় বাড়বে ১৫ রমজানের পর থেকে। টেরি বাজারে আসা গৃহিণী তানজিলা ঊর্মি বলেন, বাচ্চার জন্য গেঞ্জি ও পাঞ্জাবি কিনতে এসেছি। গত বছরের জিনিসপত্রের দামও একটু বেশি। দামের বিষয় জানতে চাইলে আনিসুল ইসলাম নামের একজন বিক্রেতা জানান, পোশাকের আমদানি খরচ আগের চেয়ে বেড়েছে। এছাড়া বেড়েছে ব্যবসার পরিচালনা ব্যয়। তবে আমরা ক্রেতাদের কাছে আমরা ন্যূনতম লাভে পণ্য বিক্রি করে থাকি।
নাসিরাবাদ ফিনলে স্কয়ারে আসা একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুলতানা আকতার বলেন, মার্কেটে এসেছি টুকিটাকি কেনাকাটার জন্য। গত বছরের চেয়ে এ বছর ভালো ভালো কালেকশন এসেছে। কিন্তু বিক্রেতা বেশি দাম হাঁকছেন।
জহুর হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব ফজলুল আমিন বলেন, আমাদের জহুর হকার্স মার্কেটে ক্রেতারা আসে মূলত কম দামে ভালো পণ্যটি কেনার জন্য। আমরা সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছি বলেই ঈদের মৌসুমে ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর থাকে জহুর মার্কেট। রমজানের প্রথমদিন থেকে আমাদের এখানে ভালো বেচাবিক্রি হচ্ছে। তবে মার্কেটে বেচাবিক্রি জমে উঠেছে সেটি বলে যাবে না।
টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল মনসুর দৈনিক আজাদীকে বলেন, আমাদের টেরিবাজার পাইকারি ও খুচরা পোশাকের বিখ্যাত। এখন ঈদের বেচাবিক্রি মাত্র শুরু হয়েছে। রমজানের শুরুর দিকে খারাপ ছিল। এখন বেচাবিক্রি বাড়ছে। তবে জমজমাট বেচাবিক্রি শুরু হতে আরো সপ্তাহ খানেক লাগতে পারে।
তামাকুমণ্ডি লেইন বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হক বলেন, তামাকুমণ্ডি লেইনে অনেকগুলো মার্কেট রয়েছে। ঈদকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীরা সব ধরনের প্রস্তুতিও সেরে রেখেছেন। এখন ইফতারের পর বেচাবিক্রিও আগের চেয়ে বেড়েছে।