নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

ঈদ উপলক্ষে পছন্দের পাঞ্জাবি ওয়ালা।

আমারদেশ২৪ ডেস্কঃ
শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০২৫

ঈদ উপলক্ষে পছন্দের পাঞ্জাবিদেখছেন ক্রেতারা। শুক্রবার বসুন্ধরা শপিংমল ।যেকোনো উৎসবেই পুরুষদের প্রিয় পোশাক হলো পাঞ্জাবি। এ ছাড়া বিশেষ দিন বা কোনো উৎসব ছাড়াও অনেকেই মাঝেমধ্যে পাঞ্জাবি পরেন, এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়। আবার অনেকেই বছরজুড়েই পাঞ্জাবি পরেন।

কিন্তু যখন ঈদের মতো কোনো উৎসব আসে তখন পাঞ্জাবি ছাড়া যেন চলেই না। তাই পুরুষদের কেনাকাটায় যতই অনীহা থাকুক না কেন, বিশেষ করে ঈদের সকালের নামাজের জন্য একটা নতুন পাঞ্জাবি কিন্তু না হলেই নয়। আর মাত্র কয়েক দিন পরেই ঈদের আনন্দে মেতে উঠবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। তাই ঈদ উদযাপনে অনেকেই শেষ মুহূর্তে পছন্দের পাঞ্জাবি কিনতে দোকানগুলোতে ভিড় করছেন। আবার যারা এখনও কেনাকাটা শেষ করতে পারেননি তারা এখন ছুটছেন মার্কেটে মার্কেটে।

সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতাদের পদচারণে মুখর হয়ে উঠেছে রাজধানীর ফুটপাথ থেকে বড় বিপণিবিতানগুলো। ক্রেতাদের ভিড় সামলাতে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে হিমশিম খেতেও দেখা গেছে। আবার ক্রেতাদের চাহিদা ও দামের কথা বিবেচনা করে দেশি-বিদেশি নতুন ডিজাইনের উন্নতমানের কাপড়ের পাঞ্জাবির পসরা সাজিয়েছেন দেশের নামিদামি ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো।

বিক্রেতারা বলছেন, বর্তমানে পুরুষরা অনেক ফ্যাশন সচেতন। আবার এবার যেহেতু ঈদ গরমে, তাই আরামদায়ক কাপড়ে হালকা কাজকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। পাঞ্জাবির গলায় ও কাফে এমব্রয়ডারি নকশা করা হয়েছে। সারা পাঞ্জাবিতে কাজ করা থাকলেও সেখানেও ছোট ছোট নকশাই প্রাধান্য পেয়েছে। বয়স ও রুচির ভিন্নতার কথা মাথায় রেখেই এসব নকশা করা হয়েছে।

ক্রেতাদের অভিযোগ অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর পোশাকের দাম অনেকটাই বেশি। তবে পরিবারের ঈদ আনন্দের কথা ভেবে কিনতেই হচ্ছে। আর এ বিষয়টি ব্যবসায়ীরাও স্বীকার করে বলেছেন, দাম বেশি হলেও এবার ঈদকেন্দ্রিক বিক্রি ভালো হচ্ছে।

শুক্রবার রাজধানীর গুলিস্তান, পীর ইয়ামেনি মার্কেট, শান্তি নগরের বেইলি রোড, শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেট, নিউমার্কেট, গাউছিয়া, চন্দ্রিমা, চাঁদনী চক, এলিফ্যান্ট রোড, ধানমন্ডিসহ প্রায় প্রতিটি শাড়ির দোকানেই ক্রেতাদের প্রচুর ভিড়। ভিড় ঠেলেই পছন্দের পণ্য কিনছেন সবাই। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জমজমাট বিকিকিনি। এমনকি ফুটপাথ থেকেও নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী পছন্দের পাঞ্জাবি কিনতে দেখা গেছে। আর ঈদ বাজারে অল্প দামে পছন্দের জিনিস মেলায় সীমিত আয়ের মানুষের চোখেমুখে ছিল স্বস্তি।

বিভিন্ন মার্কেট ও শোরুম ঘুরে দেখা গেছে, শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সির জন্য গত বছরের মতো এবারও একরঙা কাপড়ের ওপর গলায় ও হাতায় অল্প নকশা করা পাঞ্জাবি বেশি। আবার এক রঙের পাঞ্জাবির ওপর কনট্রাস্ট সুতার কাজ প্রাধান্য পেয়েছে। ছিমছাম, পরিচ্ছন্ন কারুকাজ ও অলংকরণে ডিজিটাল প্রিন্টের পাঞ্জাবি চাহিদা রয়েছে। ছোট ছোট ফুল, পাঞ্জাবির বুকের দিকে হালকা কাজ, কাছটায় এমব্রয়ডারি, সুই-সুতার ভারী কাজের দেখা মিলছে বেশি।

এ ছাড়া এবার জমকালো কাজের চুমকি, এমব্রয়ডারি, কারচুপি, নকশা জারদৌসি এবং লখনৌ স্টিচের পাঞ্জাবিও রয়েছে অনেক। পাঞ্জাবির সামনের অংশটায় ঘন কাজ করা হয়েছে। সুতি, সিল্ক, লিলেন, রেমি কটন, ফাইন কটন, কটনের পাঞ্জাবির চাহিদা বেশি। এর মধ্যে সাদা, অফ হোয়াইট, আকাশি, হালকা বেগুনি, পাউডার পিংকের মতো হালকা রংসহ বাহারি কালারের পাঞ্জাবি রয়েছে। আর তাতে ব্যবহার করা হয়েছে পিওর কটন, ব্লেন্ডেড কটন, ভিসকস, টু-টোন কটন, জ্যাকার্ড ফেব্রিক, অ্যাপ্লিক, কাটওয়ার্ক, কাঁথা স্টিচ, লে আউট প্রিন্ট। এ সব পাঞ্জাবির আকর্ষণের একটি বড় অংশজুড়ে রয়েছে বোতামের নকশা ও বাটন প্লেট।

অন্যদিকে ঈদে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পাঞ্জাবির সঙ্গে সমন্বয় করে কটি সেট বাজারে বিক্রি হচ্ছে। আবার অনেকেই কাবলি সেটও কিনছেন। আবার অনেকেই পাঞ্জাবির সঙ্গে ম্যাচিং করে পায়জামাও কিনছেন।

আরও পড়ুন