সাভারের আশুলিয়ায় এক যুবককে ইয়াবা দিয়ে ছবি তুলে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
এছাড়া এক আনসার সদস্যের গোপনাঙ্গে আঘাত করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গমকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে আশুলিয়া থানার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে, বুধবার রাত ২টার দিকে আশুলিয়ার শুটিং বাড়ি এলাকার একটি বাসায় অনধিকার প্রবেশ করে ইয়াবা দিয়ে ছবি তুলে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য জহিরুল ইসলাম আশুলিয়া থানাধীন আশুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার পর তাকে থানা থেকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী যুবক আশুলিয়ার শুটিংবাড়ি এলাকার রনি মিয়া। আর অপর ভুক্তভোগী হলেন, (আনসার সদস্য) নবীন মিয়া। তিনি জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলার বনগ্রামের আজিমুদ্দিনের ছেলে।
ভুক্তভোগী রনি মিয়া বলেন, ‘আমার বাড়ির ২ কলোনিতে শ্রমিক শ্রেণীর লোক ভাড়া থাকেন। রাতে কয়েকজন ভাড়াটিয়া বসে তাস খেলছিল। এমন সময় এএসআই জহিরুল ইসলাম সঙ্গে একজন এসআই ও ২ জন কনস্টেবল নিয়ে আমার বাড়িতে প্রবেশ করেন। পরে তাস খেলার বিষয়ে নানা প্রশ্ন করে আমার হাতে ইয়াবা দিয়ে ছবি তোলেন তারা।’
‘এ সময় তারা গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে আমার কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে অনেক কষ্টে ২০ হাজার টাকা দিলে আমাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।’
ভুক্তভোগী আনসার সদস্য বলেন, ‘আশুলিয়া থানার সামনে কথা-কাটাকাটির জেরে পুলিশের এএসআই জহিরুল ইসলাম আমার গোপনাঙ্গে আঘাত করেন। পরে থানায় মামলা দায়ের করতে চাইলে আমাদের টাকা দিয়ে জোরপূর্বক আপসনামায় স্বাক্ষরের চেষ্টা করেন তিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধান ওসি (আবু বকর সিদ্দিক), অপারেশন ওসি (মো. আব্দুল বারিক) বলেছেন যে, যেহেতু সে অন্যায় করেই ফেলেছে, আমরা সামাজিকভাবে মিমাংসা করে দিই। আমি ও আমার ভাই ব্রাদার যারা ছিল সবাই আমরা রাজি হই ‘
আশুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদের সামনেই ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানো ও আনসার সদস্যকে গোপনাঙ্গে আঘাত করেন থানা পুলিশের এই সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জহিরুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘ঘটনার পরপরই এএসআই জহিরুলকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তবে এসব ঘটনার সঙ্গে আশুলিয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই।’