নিউজ ডেস্ক:
শনিবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৫
শরীয়তপুরের জাজিরায় আধিওইপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২ পক্ষের সংঘর্ষে শতাধিক হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এ সময় মুহুর্মুহু বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে এলাকা। সংঘর্ষ চলাকালে কমপক্ষে ৫ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।
আজ শনিবার সকাল ৮আটটার দিকে উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের দূর্বাডাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ২ পক্ষের সংঘর্ষ ও হাতবোমা বিস্ফোরণের ছড়িয়ে পড়া ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একটি খোলা মাঠে উভয় পক্ষের লোক মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। সেখানে অনেকের হাতে বালতি ও হেলমেট পরিহিত অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। বালতি থেকে হাতবোমা নিক্ষেপ করা হচ্ছে।
প্রশ্ন উঠেছে, সংঘর্ষে জড়ানো ব্যক্তিরা এত ককটেল কীভাবে পেলেন। এ বিষয়ে শরীয়তপুর জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, ‘পূর্ব বিরোধের জের ধরে বিলাশপুর এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। মূলত ঈদে বাড়িতে আসার পর লোকজন দুপক্ষে বিভক্ত হয়ে এমন হামলার ঘটনা ঘটায়। ওই এলাকার মানুষ দেশীয় নানা অস্ত্র ও বিস্ফোরক বানাতে পারেন ও বানানোর প্রবণতা রয়েছে।’
তিনি আরও জানান, এই বিস্ফোরক তৈরি জন্য যে ধরনের উপাদান প্রয়োজন তারা কীভাবে তা হাতে পেয়েছেন, সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযান চালিয়ে সেসব উদ্ধার করা হবে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিলাসপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা জলিল মাদবরের সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছে। প্রায় চার বছর আগে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আওয়ামী লীগের এই দুই নেতা। ওই সময় পুরানো বিরোধ আরও চাঙা হয়।
গত ৫ আগস্টের পরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকালে দূর্বাডাঙ্গা এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সমর্থকরা আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় অন্তত শতাধিক হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।