মন্ত্রণালয় জানায়, এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য হলো হজ মৌসুম শুরুর আগেই উমরা পালনকারীদের সৌদি আরব থেকে প্রস্থানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। কারণ ১ জিলকদ থেকে হজ প্রস্তুতি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। প্রতিবেদনে বলা হয়, উমরা পালন করতে সৌদি আরবে প্রবেশের শেষ দিন ১৩ এপ্রিল (সৌদি আরবে ১৫ শাওয়াল)। ওই দিনের পর হজের আগে আর কেউ ওমরাহ পালন করতে দেশটিতে যেতে পারবেন না।
২৯ এপ্রিলের পর ওমরাহ যাত্রীদের কেউ যদি সৌদি আরবে অবস্থান করেন, তবে তিনি দেশটির ভিসা আইন ও হজের নীতিমালা লঙ্ঘন করেছেন বলে বিবেচনা করা হবে এবং আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বিবৃতিতে।
এতে সতর্ক করে আরও বলা হয়, যেসব ব্যক্তি ও কোম্পানি উমরা পরিষেবা প্রদান করে, তাদের কেউ যদি নিয়ম লঙ্ঘন করে, তবে শাস্তি হিসেবে তাদের সর্বোচ্চ এক লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানা এবং সঙ্গে সম্ভাব্য আইনি ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে।তাই সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ সবাইকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেশ ছাড়ার এবং এ সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার নিয়মকানুন সম্পূর্ণরূপে অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে সৌদি আরব বলছে, অতিরিক্ত সময় অবস্থানকারী উমরা যাত্রীরা এ বিষয়ে জানাতে ব্যর্থ হলে সর্বোচ্চ জরিমানা করা হবে।হজ যাত্রীদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে, নিরাপত্তা দিতে এবং ভিড় নিয়ন্ত্রণে প্রতি বছরই এমন নির্দেশনা জারি করছে সৌদি আরব।