নিউজ স্ক:
সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫
২০০৯ সালে পিলখানায় বিদ্রোহের ঘটনায় মামলার আসামি বিডিআরের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আব্দুর রহিমের কারাগারে মৃত্যুর ঘটনায় তৎকালীন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে করা মামলা এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করেছে রাজধানীর চকবাজার থানা পুলিশ।একই মামলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সাবেক মহাপরিচালক (পরে সেনাপ্রধান) আজিজ আহমেদসহ ১৩ জনকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন চকবাজার থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার এসআই আশরাফুল আলম।
এর আগে গত ২৫ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আক্তারুজ্জামানের আদালতে বাদী হয়ে মামলার আবেদন করেন ভুক্তভোগী ডিএডি আব্দুর রহিমের ছেলে অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ। আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে বিডিআর বিদ্রোহে মৃত্যুর ঘটনায় যে অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে তা রিকল করেন। অপমৃত্যুর মামলার সর্বশেষ অবস্থা দেখে আদালত আদেশ দেবেন বলে জানান।
গত ২ ডিসেম্বর চকবাজার মডেল থানার এসআই (নিরস্ত্র) আহম্মদ আলী মোল্লা এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়নি বলে আদালতে অবহতিকরণপত্র দাখিল করেন। এরপর গত ২ ফেব্রুয়ারি নথি পর্যালোচনা করে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জুনাইদ চকবাজার থানাকে মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
গত ৪ মার্চ চকবাজার থানার অফিসার্স ইনচার্জ মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করেন। গত ৭ মার্চ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জুনাইদ মামলাটি তদন্ত করে আগামী ১০ এপ্রিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।
এ মামলায় জেনারেল আজিজ আহমেদকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিরা হলেন- বিডিআর বিদ্রোহের মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মোশাররফ হোসেন কাজল, আসামির তালিকায় শেখ হাসিনা রয়েছেন চতুর্থ স্থানে।
বাকি উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, সাবেক কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশরাফুল ইসলাম খান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক এমপি নূরে আলম চৌধুরী লিটন, সাবেক এমপি শেখ সেলিম ও শেখ হেলাল, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবীর নানক, সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতা মির্জা আজম, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।এছাড়া হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মন্ত্রী-এমপিসহ আরও ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।