শনিবার , ১১ জানুয়ারি, ২০২৫
চট্টগ্রামকে জ্বালানি তেলের হাব হিসেবে গড়ে তুলতে চায় পৃথিবীর শীর্ষ তেল উৎপাদনকারী এবং রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সৌদি আরবের আরামকো। চট্টগ্রামে জ্বালানি তেলের রিফাইনারি স্থাপনের ব্যাপারে তারা আগ্রহ দেখিয়েছে। ৩ বার ফিরে যাওয়ার পর আবারো তাদের এই প্রত্যাবর্তনকে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার খুবই গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে। অ্যারাবিয়ান আমেরিকা অয়েল কোম্পানি (আরামকো) চট্টগ্রাম থেকে চীন, ভারতসহ পূর্ব–দক্ষিণ এশিয়ার বাজারে তেল রপ্তানি করতে চায়।
একইসাথে চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে তারা সৌদি আরবের জেদ্দার সাথে একটি সমুদ্র রুটও গড়ে তোলার আগ্রহ দেখাচ্ছে। বিশ্বের এক দশমাংশ জ্বালানি তেলের চাহিদা মেটানো আরামকো চট্টগ্রামে আসলে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তাসহ সার্বিক অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো মন্তব্য করেছে।
সূত্র জানিয়েছে, সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল উৎপাদনকারী এবং রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আরামকো দৈনিক ৯০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন করে। যা বিশ্বের মোট চাহিদার প্রায় ১০ শতাংশ। সৌদি আরব এবং আমেরিকার যৌথ এই কোম্পানির উৎপাদন সক্ষমতা দৈনিক ১ কোটি ২০ লাখ ব্যারেল। ১ লাখ ৩৬ হাজার লোকবল নিয়ে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ এই কোম্পানি পৃথিবীর জ্বালানি তেলের অন্যতম নিয়ন্ত্রক।
মধ্যপ্রাচ্য, ফিলিপাইন এবং কোরিয়া, ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তেল ও গ্যাস সেক্টরে আরামকোর বিনিয়োগ রয়েছে। বিশ্বখ্যাত এই কোম্পানি বাংলাদেশে রিফাইনারি স্থাপনসহ বিনিয়োগ প্রস্তাব নিয়ে ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিন দফায় ঢাকায় এসেছিল।
কিন্তু তাদের প্রস্তাব বিবেচনা না করে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছিল। সৌদি দূতাবাসের সাথে ঘনিষ্ঠ চট্টগ্রামের একজন শীর্ষ ব্যবসায়ী জানান, আরামকোর প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে নিচের দিকে নামলেই গতি হারিয়ে ফেলতো।
প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে সুনির্দিষ্ট মন্ত্রণালয়ে গেলে আটকে যেত। ব্যক্তি স্বার্থে এসব প্রকল্প আটকে ফেলা হতো বলে উল্লেখ করে সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে এই ব্যবসায়ী বলেন, আরামকোকে কেউ বিন্দুমাত্র সহযোগিতা করেনি, উল্টো প্রতিনিধিদলকে হতাশ করা হয়েছে।