আমারদেশ24.com
রবিবার ১৫ ডিসেম্বর২৪
চট্রগ্রামের পটিয়ায় ব্যাট নিয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী যুবকের ছুরিকাঘাতে শিউলী (৪২) নামের এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর ২ ছেলেকেও মেরে রক্তাক্ত করেছে প্রতিপক্ষরা। নিহত শিউলী উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সিরাজ গাজী বাড়ির মুহাম্মদ মুছার স্ত্রী।
গতকাল শনিবার সন্ধা ৬ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গৃহবধূ শিউলীকে ছুরিকাঘাত করা যুবক আলফাজুর রহমান প্রকাশ আলভি (১৮) একই এলাকার বাচা মিয়ার ছেলে।
নিহতের পরিবারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নিহত শিউলি বেগমের ১ মেয়ে ও ৩ ছেলে সন্তান রয়েছে। এরমধ্যে এক ছেলে সামিম (১২) এর সাথে ব্যাডমিন্টনের ব্যাট নিয়ে প্রতিবেশী বাচা মিয়ার ছেলে তাহসিন (১৪) এর ঝগড়া হয়।
একপর্যায়ে তাহসিন সামিমকে পাথর ছুঁড়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়। এ নিয়ে সামিমের মা শিউলি তাহসিনের মাকে ডেকে বিচার দেয় এবং ছেলের চিকিৎসার খরচ বহন করতে বলেন। কিন্তু তাহসিনের মা রাজি হচ্ছিলেন না।
এ নিয়ে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে রক্তাক্ত সামিমকে নিয়ে বাড়ির লোকজন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। হাসপাতাল থেকে ফিরে শিউলি দেখতে পান তাহসিনের বড়ভাই ঘাতক আলফাজুর রহমান,প্রকাশ আলভিসহ তার পরিবারের লোকজন মিলে তাদের পরিবারের লোকজনের উপর হামলা করে।
তবে পূর্ব থেকে সামিমের পরিবারের সাথে রান্না ঘরের জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের বিরোধ চলে আসছিল বলে জানা গেছে। হামলার সময় রান্না ঘরের চুলার চুঙ্গি ভেঙে দেয় তারা। একপর্যায়ের তাহসিনের বড়ভাই আলভি সামিমের মা শিউলিকে পেটে ছুরিকাঘাত করে।
ছুরিকাঘাতের পর শিউলি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাহসিনের পরিবারের লোকজনরাও রক্তাক্ত শিউলিকে লাথি মারতে থাকে এবং কানের দুল খুলে নেয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় শিউলিকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
স্থানীয়রা জানান, ঘাতক যুবক আলভি বকাটে প্রকৃতির। সে সবসময় পটিয়ার এক চিহ্নিত সন্ত্রাসীর অনুসারী বলে পরিচয় দিত এবং আস্ফালন করতো। যার কারণে তার সাথে কেউ প্রতিবাদ করে কথা বলতেও সাহস করত না।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ নুর বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে ছুটে যায়। অভিযুক্ত আলভি পলাতক রয়েছে। তাকে আটকের জন্য পুলিশি অভিযান চলছে এবং এ ঘটনায় আইনী প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।