নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

চট্রগ্রামের পটিয়া ডাকাতির সময় পুলিশ দেখে পালিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার , ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪

চট্রগ্রামের পটিয়ায় নির্মাণাধীন একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে ডাকাতির চেষ্টা চালিয়েছে সংঘবদ্ধ একটি ডাকাত দল। এসময় প্রায় ২০ জনের ডাকাত দলটি নির্মাণাধীন এ ফ্যাক্টরির বাউন্ডারি দেয়াল টপকে এবং ওয়ালের নীচে দিয়ে সুরঙ্গ করে ভিতরে প্রবেশ করে ফ্যাক্টরির সাবস্টেশনের গুরুত্বপূর্ণ মেশিনের ক্ষতিসাধন এবং ফায়ার ডোরের লক ভেঙে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে।

ডাকাত দল একটি ট্রাক ও হায়েচ করে মালামাল লুট করে নিয়ে যাওয়ার জন্য ফ্যাক্টরির গেটে রাখলেও খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশের উপস্থিতি জানতে পেরে মালামাল রেখেই পালিয়ে যায় তারা।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ভোর রাতে উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের নয়াহাট এলাকায় নির্মাণাধীন কে এম এস গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে এ ফ্যাক্টরিটি ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাসেমের বলে জানা গেছে।

উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের নয়াহাট এলাকায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাসেমের নির্মাণাধীন কে এম এস গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে বৃহস্পতিবার ভোরে ২০/২২ জনের একটি ডাকাত দল প্রবেশ করে।

এ সময় ফ্যাক্টরিতে নাইটগার্ডসহ ছয়জন কর্মচারী ছিল। ডাকাত দল ভিতরে প্রবেশ করে ৪জন নাইটগার্ডকে চোখ ও হাত বেঁধে ফেলে। এ ঘটনা টের পেয়ে ফ্যাক্টরির টাইলস মিস্ত্রি শাহাদাত একটি সিঁডির নীচে লুকিয়ে থাকে।অপরজন ফ্যাক্টরির স্টোর কিপার সাইফু একটি বাথরুমে অবস্থান নেয়।এ বিষয়ে ফ্যাক্টরির টাইলস মিস্ত্রি মো: সাহাদাত জানান, রাতে প্রায় ২০জনের একটি ডাকাত দল ফ্যাক্টরিতে প্রবেশ করে। তাদের হাতে বিভিন্ন অস্ত্রসহ রাম দা ও কিরিচ ছিল। আমি কয়েকজন নাইটগার্ডকে মারধর করার শব্দ পেয়ে ঘুম ভেঙ্গে যায়।

এ সময় জানালা দিয়ে বাইরে ডাকাত আসার বিষয়টি বুঝতে পেরে আমি একটি বাথরুমে আশ্রয় নিই এবং মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় জানিয়ে দিই। ডাকাতরা আমার নাম ধরে আমাকে খুঁজতে থাকে। এ সময় তারা ফ্যাক্টরির ফায়ার ডোর, সাব ষ্টেশনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান মেশিন ভাঙচুর করে এবং মূল্যবান ক্যাবল কাটার দিয়ে কেটে ফেলে।

তাছাড়া ফ্যাকরির বিভিন্ন জিনিসপত্র গাড়িতে ওঠানোর জন্য গেটে রাখলেও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা এসব মালামাল রেখে পালিয়ে যায়। এতে আমাদের ফ্যাক্টরির ৩০-৩৫ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধিত হয়।তিনি আরো বলেন, এর আগেও গত ৪ নভেম্বর একইভাবে একটি ডাকাত দল ফ্যাক্টরিতে প্রবেশ করে বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছিল। এ ঘটনায়ও ফ্যাক্টরির দারোয়ান বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

জানতে চাইলে পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জায়েদ মো: নাজমুন নুর বলেন, পুলিশ খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে এবং প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

আরও পড়ুন