শুক্রবার , ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
চট্রগ্রামের পতেঙ্গা এলাকা থেকে ওসমান সিকদার (৪০) নামের এক বিমান কর্মচারীর লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালের দিকে পতেঙ্গা চরপাড়া লিংক রোডের এসএপিএল পার্কিং সংলগ্ন এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, ওসমান হাটহাজারী উপজেলার মেখল ইউপির দক্ষিণ পশ্চিম মেখল ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রুহুল্লাপুর সিকদার বাড়ীর মৃত শাহ আলমের পুত্র। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের সিভিল অ্যাভিয়েশনে অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। তার ছোট ভাই এমরান সিকদার হাটহাজারী উপজেলা হেফাজতে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক।
পরিবারের বরাত দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলাম জানান, নিহত ওসমান সিকদার দুই মেয়ে এক সন্তারে বাবাতার পরিবার হাটহাজারীর মেখলস্থ গ্রামের বাড়িতেই থাকে। ওসমান গত বুধবার সন্ধ্যার দিকে বাড়ি থেকে কর্মস্থলের উদ্দেশে বের হন। কর্মস্থলে স্টাফ কোয়ার্টারেও রুম ছিল তার। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়রা পতেঙ্গার চরপাড়া লিংক রোডের এসএপিএল পার্কিং পয়েন্টের সামান্য দূরে রাস্তার পাশে একটি লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিচয় শনাক্তের পর সেটি উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
নিহতের ভাই হেফাজত নেতা এমরান সিকদার অভিযোগ করে বলেন, গত বুধবার রাত ৩টার দিকে কর্মস্থলের স্টাফ বাসা থেকে তার ভাইকে ৭/৮ জন মিলে ধরে নিয়ে যায়। পরে পূর্ব শক্রতার জের ধরে নৃশংসভাবে খুন করে তাকে। তার পুরো শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে বলেও জানান তিনি।
আরেকটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ওসমানের সাথে আর্থিক বিষয় নিয়ে ফটিকছড়ির এক ব্যক্তির ঝামেলা ছিল। ঐ ব্যক্তি তার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে ২২/২৩ দিন আগে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে ওসমানের পশ্চিম মেখলস্থ গ্রামের বাড়িতে গেলে সেখানে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় হাটহাজারী মডেল থানায় ওসমানকে বিবাদী করে একটি অভিযোগও করা হয়। পরে হাটহাজারী পৌরসভার একটি দলীয় অফিসে বিষয়টি নিয়ে বৈঠক হলে ওসমানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও দিতে হয়। তবে ফটিকছড়ির কার সাথে ঝামেলা ছিল তার নাম পরিচয় জানাতে না পারলেও সূত্রটি জানায়, তিনি বিদেশ থেকে স্বর্ণ আনার কাজ করতেন।
পতেঙ্গা থানার ওসি মাহফুজুর রহমান এবং হাটহাজারী মডেল থানার ওসি আবু কাওসার মাহমুদ হোসেন জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।