নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

চলতি মৌসুমে দেশে লবণের চাহিদা ও লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

প্রায় দেড়গুণ বেশি লবণ উৎপাদন হয়েছে। এতে চলতি মৌসুমেও লবণ উৎপাদন অতীতেরসকল রেকর্ড ভঙ্গ করার সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি মৌসুমে দেশে লবণের চাহিদা ও লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৬ লাখ ১০হাজার মেট্রিক টন। লবণ চাষিরা বলেন, লবণ মিল মালিকদের একটি সিন্ডিকেট দেশে লবণ উৎপাদন কমানোর জন্য চাষিদের উপর মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ শুরু করেছে। যাতে চাষিরা মৌসুমের শুরুতেই লবণ চাষের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে এবং লবণ উৎপাদনে ঘাটতি তৈরি হয়। এরই অংশ হিসেবে লবণ মৌসুমের শুরুতেই লবণ মিল মালিকরা বস্তা প্রতি (প্রতি বস্তা ৮০ কেজি) ১৪শ টাকা থেকে দফায় দফায় কমাতে কমাতে এখন ৬৮০ টাকা থেকে ৭শ টাকায় এসে ঠেকেছে। আবার চাষিদের কাছ থেকে প্রতি বস্তায় ৮০ কেজির পরিবর্তে ৯০ থেকে ৯৫ কেজি লবণ নেওয়া হচ্ছে।

নিকট অতীতে মাঠ পর্যায়ে লবণের এমন দরপতন হয়নি উল্লেখ করে লবণ চাষিরা আরও বলেন, মাঠ পর্যায়ে লবণের দাম কম হলেও বাজারে প্যাকেটজাত লবণের মূল্য কমেনি। বাজারে প্রতি কেজি ভোজ্য লবণ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। লবণ চাষিরা দাবি করেন, বর্তমানে প্রতি কেজি লবণ উৎপাদনে পলিথিন, জ্বালানি তেল ও শ্রমসহ প্রায় ১৫ টাকা খরচ হয়। অথচ মাঠ পর্যায়ে লবণ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৮ টাকা দরে। এর ফলে লবণ চাষি ও ব্যবসায়ীদের মাঝে চরম হতাশা তৈরি হয়েছে। অথচ এ স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্ষেত্র থেকে সরকার প্রায় ৫শ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করে।

লবণ চাষিরা দেশের লবণ শিল্পকে রক্ষায় লবণের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে অবিলম্বে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনুছের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন। অন্যথায় দেশীয় লবণ শিল্পটি আবারও পরনির্ভরশীল হয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কক্সবাজার লবণ চাষি ও ব্যবসায়ী সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান চৌধুরী খোকন মিয়া। এ সময় জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এটিএম নুরুল বশর চৌধুরী, লবণ চাষি ও ব্যবসায়ী সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক মকছুদ মিয়া, সদস্য জামিল ইব্রাহিম চৌধুরী, সেলিম উল্লাহ, আনিসুর রহমানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

আরও পড়ুন