গতকাল শনিবার রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে মতবিনিময় ও ‘নতুন বাংলাদেশ গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সভা শেষে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।
এসময় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রাজপথে থাকা তের সাংবাদিকরা তাদের জীবনের মর্মান্তিক ঘটনার স্মৃতিচারণে অব্যক্ত অনুভূতি প্রকাশ করেন। জুলাই বিপ্লবে ‘সাহসী যোদ্ধা’ হিসেবে সম্মাননা পেয়েছেন কালবেলার লিড মোজো রিপোর্টার আকরাম হোসেন, দৈনিক সংগ্রামের সিনিয়র রিপোর্টার নাছির উদ্দিন সোয়েব, দেশ টিভির রিপোর্টার হাসান মাহমুদ, যমুনা টিভির সিনিয়র ভিডিও জার্নালিস্ট ইসমাইল হোসেন জনি, দৈনিক জনকণ্ঠের ফটো সাংবাদিক সুমন্ত চক্রবর্তী, বাংলাদেশ টাইমসের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার আরেফিন ইমন, চ্যানেল আইয়ের সাংবাদিক আক্তার হাবিব, এসএ টিভির মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার রহমতউল্লাহ, কালের কণ্ঠের ফটো সাংবাদিক মনজুরুল করিম, খবর সংযোগের মোহাম্মদ নাঈম, একাত্তর টিভির সিনিয়র রিপোর্টার নাদিয়া শারমিন, মাই টিভির ভিডিও জার্নালিস্ট মো. হাসান বিশ্বাস, বার্তা বাজারের স্টাফ রিপোর্টার শফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহকারী প্রেস সেক্রেটারি আহম্মদ ফয়েজ, ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ শহীদুল আলম। প্রেস সচিব শফিকুল বলেন, আমরা এক ইঞ্চিও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আটকাবো না। আমাদের সরকারের উদ্দেশ্যই হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম, মুক্ত সাংবাদিকতা।
গত ৪ মাসে আমরা কাউকে মানা করিনি। আপনারা আমাদের ভুলত্রুটি দেখিয়ে দিন, ধরিয়ে দিন। ক্ষমতায় থাকলে অনেক কিছু বোঝা যায় না। তাই আপনারা দায়িত্ব নিয়ে ভুল ধরিয়ে দিন।
মাস্তুল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক কাজী রিয়াজ তার বক্তব্যে বলেন, মাস্তল ফাউন্ডেশন একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান। এর মূল লক্ষ্য সমাজের উন্নয়নে কাজ করা। আর এরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে গণমাধ্যম। তাই গণমাধ্যমের সাহসী যোদ্ধাদের নিয়ে এ আয়োজন।