নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

সর্বশেষ
রাজধানীর মগবাজারে রিক্সা শ্রমিকদের নিয়ে জামায়াতের মতবিনিময়। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর নির্দেশনায় ইফতার বিতরণ। মাস ব্যাপি ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইফতার বিতরণ করেন। পদত্যাগের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে সাধারণ মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে: যুবদল নেতা এমদাদুল হক। জাতীয়তাবাদী চিকিৎসকবৃন্দের ইফতার মাহফিল। ঈদে চট্টগ্রামের নিরাপত্তা জোরদারে চেম্বার প্রশাসকের আহ্বান। জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের পাশে থাকবে সেনাবাহিনী : সেনাপ্রধান। সন্দ্বীপ যাবে আজ স্বপ্নের ফেরি। সন্দ্বীপের সঙ্গে সরাসরি ফেরি যোগাযোগ শুরু।

ট্রাম্পের প্রশংসায় রাশিয়া, যুদ্ধের জন্য ইউরোপকে দোষারোপ।

নিউজ ডেস্কঃ
সোমবার, ০৩ মার্চ, ২০২৫
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিবাচক পদক্ষেপের জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশংসা করেছে রাশিয়া। তবে ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে সংঘাত আরও দীর্ঘায়িত করার জন্য ইউরোপীয় দেশগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে দেশটি।
ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান চাওয়ায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্বাভাবিক বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন বলে প্রশংসা করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। খবর বার্তা সংস্থা রয়াটার্সের।
গতকাল রোববার এক বক্তব্যে ল্যাভরভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখনও বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ হিসেবে থাকতে চায়। তবে মস্কো ও ওয়াশিংটন কখনও সব বিষয়ে একমত হতে পারবে না। যখন স্বার্থ মিলেছে, তখন তারা বাস্তববাদী থাকার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
ল্যাভরভ আরও বলেন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের মডেলের আদলে গড়ে ওঠা উচিত। যাতে মতপার্থক্য যুদ্ধের দিকে না গিয়ে পারস্পরিকভাবে লাভজনক অনেক কিছু করা যায়।
ল্যাভরভ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ‘বাস্তববাদী’ বলে অভিহিত করেন। রাশিয়ার সামরিক সংবাদপত্র ক্রাসনায়া জভেজদা-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ল্যাভরভ বলেন, ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক নীতির চেয়ে বাস্তবিক সমাধানের দিকে ঝোঁকপ্রবণ।
ল্যাভরভের মতে, তার (ট্রাম্পের) স্লোগান হলো সাধারণ জ্ঞান। এর মানে হলো, সবাই যেমন দেখছে, কাজ করার পদ্ধতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। ট্রাম্পের মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন (এমএজিএ) নীতিই তার রাজনৈতিক লক্ষ্য বলে মনে করেন ল্যাভরভ।সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এটি তার রাজনীতিকে আরও প্রাণবন্ত ও মানবিক চরিত্র দেয়। এ কারণেই তার সঙ্গে কাজ করা আকর্ষণীয়।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে হাজার হাজার সেনা পাঠিয়ে সামরিক অভিযান শুরু করে। আধুনিক ইতিহাসে এটি রাশিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর সংঘাত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। মূলত পূর্ব ইউক্রেনে বর্তমান সংঘাতের শিকড় ২০১৪ সালের রাজনৈতিক পরিবর্তনের সঙ্গে জড়িত। ওই বছর ইউক্রেনের মাইদান বিপ্লবে তৎকালীন রাশিয়া সমর্থিত প্রেসিডেন্ট ক্ষমতাচ্যুত হন, যার প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করে নেয়। এরপর থেকেই ইউক্রেনের সেনাবাহিনী এবং রুশ-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়, যা আজও চলমান।

 

আরও পড়ুন