নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

ডিজিটাল হাজিরা মেশিনে ‘ডিজিটাল দুর্নীতি।

মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৫
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় ১৩৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল হাজিরার জন্য বসানো অধিকাংশ বায়োমেট্রিক মেশিন নষ্ট হয়ে গেছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রতিটি স্কুলের জন্য নিম্নমানের বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন কেনায় এই দশা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতে সরকারের প্রায় ৩০ লাখ টাকা গচ্চা গেছে।
এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) আশরাফ আলী বলেন, সেই সময়ে উপজেলায় সব স্কুলের জন্য ডিজিটাল হাজিরা মেশিন কেনা হয়েছিল। অব্যবহৃত থাকায় বর্তমানে বায়োমেট্রিক মেশিনগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। এ ছাড়া শিক্ষকদের হাজিরা মেশিন ব্যবহারে অনীহা থাকায় প্রকল্পটির অর্থ শুধু অপচয় হয়েছে, কোনো কাজেই আসেনি। তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুসাব্বির হোসেন খান বলেন, খোঁজ নিয়ে ভালো করে জানার পর বিস্তারিত জানাতে পারব।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০১৯ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৬২০টি। এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রকল্পের মাধ্যমে যন্ত্রটি কেনার ব্যয় নির্বাহ এবং বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের নিজ দায়িত্বে যন্ত্রটি কিনে নেবে বলে সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়। তখন মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পত্রের মাধ্যমে একাধিক নির্দেশনা দেয় মাঠ পর্যায়ে। এই কার্যক্রম মনিটর করার জন্য বিভাগীয় উপ-পরিচালককে আহ্বায়ক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে সদস্য ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বেশ কয়েকজন স্কুলশিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন স্কুলে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে বায়োমেট্রিক মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু বিল ভাউচারে মেশিন ক্রয়সহ বিভিন্ন ইস্যুতে অর্ধেক টাকাই নয়ছয় ব্যয় দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া অনেক কিছু এখনও অনেক স্কুল বুঝে পায়নি। ইন্টারনেট বাবদ বাৎসরিক চার্জ নেওয়া হলেও আজ পর্যন্ত ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হয়নি। এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে শিক্ষক নেতাদের পাশাপাশি উপজেলা শিক্ষা অফিসও জড়িত। নিম্নমানের সামগ্রী কিনে টাকা আত্মসাৎ করায় লাখ লাখ টাকার ডিজিটাল হাজিরা মেশিন এখন সম্পূর্ণ অকেজো হয়েছে।
উপজেলার ওয়াশিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হাসিম বলেন, ডিজিটাল হাজিরা মেশিন কেনার সময় ডিজিটাল দুর্নীতি করা হয়েছে। আমার স্কুলের বায়োমেট্রিক মেশিন কেনার পরপরই নষ্ট হয়ে যায়। সার্ভিসিং করার কথা বলে এক বছর আগে নিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত আর ফেরত পাইনি।

আরও পড়ুন