নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

তথ্য দিতে প্রবাসীদের সহায়তা চাইলেন গভর্নর।

নিউজ ডেক্স।
 শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫
facebook sharing button
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, রিজার্ভ নিয়ে আমাদের প্যানিকড হওয়ার মতো কিছু হয়নি। এখনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ৪ মাসের আমদানি দায় মেটানোর রিজার্ভ রয়েছে। গত ৫ মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৩ বিলিয়ন। রপ্তানি বেড়েছে ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার।
আজ শনিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘সেন্টার ফর এনআরবি’ আয়োজিত ‘ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স সিরিজ-২০২৫’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, গত ৫ মাসে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি মিলে অতিরিক্ত সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার যোগ হয়েছে। নানান প্রতিকূলতা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও রেমিট্যান্স বেড়েছে। একই সময়ে রপ্তানি আয় বেড়েছে। এখানে প্রবাসীদের অনেক বড় অবদান রয়েছে। এতে চলতি হিসাবের যে ঘাটতি দেখা দিয়েছিল সেটি আর নেই।
ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, বর্তমান সময়ে দেশ থেকে অর্থপাচার কমে গেছে। আগে দুবাই থেকেই ডলার পাচার হয়ে যেত। এটা কমেছে। প্রতিষ্ঠানগুলোতে গুড-গভর্নেন্স ফিরে আসায় অর্থপাচার ও ব্যাংকিং খাতে সুশাসন এসেছে। এতে অর্থনীতি মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে।
প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে গভর্নর বলেন, দেশ থেকে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনতে বিদেশিদের ব্যাপক সহায়তা পাচ্ছি। আমরা আইনজীবী নিয়োগ করছি। তবে টাকা পাচারকারীদের বিদেশে থাকা সম্পদের তথ্য দিয়ে প্রবাসীরা সহায়তা করতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে দিনে-দুপুরে এমনভাবে চুরি হয়েছে যা বিশ্বের আর কোথাও হয়নি। এখন আমরা টাস্কফোর্স করেছি। বিদেশিরা কাজ করছে। আমরা পাচারকারীদের অর্থ দেশ ও দেশের বাইরে থেকে ফিরিয়ে আনবো। আমাদের দেশের বাইরের আদালতেও জিততে হবে। এক্ষেত্রে যদি প্রবাসীরা পাচারকারীদের সম্পদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করেন তাহলে অনুসন্ধানে সুবিধা হবে, অর্থ ফিরিয়ে আনা সহজ হবে।
এসময় তিনি জানান, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আনতে আড়াই (২.৫ শতাংশ) শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এতে বছরে সরকারের ৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। তবে প্রবাসীদের জন্য সরকার ইতিবাচক।

আরও পড়ুন