নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

সর্বশেষ
চট্টগ্রামে চোর চক্রের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার, উদ্ধার ১০ ভরি স্বর্ণ। আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার ৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ। এনসিপির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনলেন : মির্জা আব্বাস। নগরীতে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামী গ্রেপ্তার। ডিএমপি কমিশনারের পক্ষে স্বাক্ষরিত আদেশের কার্যকারিতা ৩ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সাতকানিয়ার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানকে  লোহাগাড়ায় পুলিশ দেখে পালানোর চেষ্টা, অস্ত্র-গুলিসহ যুবক গ্রেপ্তার। শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত সায়েন্সল্যাব, ২ দিন বন্ধ থাকবে ঢাকা কলেজ। নারায়ণগঞ্জে ১৬ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে চাকরির সুযোগ।

তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে রোজা ভাঙা যাবে।

আমারদেশ২৪ ডেস্কঃ
শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫
চৈত্র মাস শুরু হয়েছে সবে। চৈত্রের যে গরম মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলে, এর আগমনী বার্তা প্রকৃতি জুড়ে টের পাওয়া যাচ্ছে এখনই। অবশ্য সদ্য বিদায় নেওয়া ফাল্গুনের শেষ কদিনের গরম মানুষকে অস্বস্তি দিয়েছে। এই গরমে রোজা রেখে বেলা শেষে অনেকের শরীর একটু ‘নেতিয়ে’ পড়ে। বাইরে বের হলে ভেতরটা হাঁসফাঁস করে। রোজা অবস্থায় প্রচণ্ড গরম পড়লে রোজাদারের কী করা উচিত। রোজা ভাঙা যাবে? ফরজ রোজা তো আর ভেঙে ফেলা যায় না। তা হলে পুকুর বা নদীতে দাঁড়িয়ে থাকা যাবে? ঝরনা ছেড়ে বা বাথটবে বসে থাকা অথবা মাথায় কি পানি ঢালা যাবে? এসব করলে কি রোজা হাল্কা হয়ে যায়?
রমজানে অসহনীয় তাপমাত্রা দেখা দিলে দৈহিক প্রশান্তি ও স্বস্তি লাভের জন্য মাথায় বা শরীরে পানি ঢালা যাবে। অসহনীয় তাপমাত্রায় রাসুলুল্লাহ (সা.) মাথায় পানি ঢালতেন। আবু বকর বিন আবদুর রহমান রাসুল (সা.)-এর কয়েকজন সাহাবির উদ্ধৃতি উল্লেখ করে বলেন, ‘অত্যধিক পিপাসা বা তাপমাত্রার ফলে রাসুল (সা.)-কে মাথায় পানি ঢালতে দেখেছেন।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ২৩৬৫)
রোজা অবস্থায় প্রচণ্ড গরম পড়লে কোনো কোনো সাহাবি কাপড় ভিজিয়ে শরীরে জড়িয়ে নিতেন। কেউ পানির মধ্যে ডুবে থাকতেন। ইবনে উমর (রা.) একটি কাপড় পানিতে ভিজিয়ে শরীরে জড়িয়ে নিলেন। তিনি ছিলেন রোজাদার। আনাস (রা.) বলেন, ‘আমার একটি টব রয়েছে, রোজা রেখেই আমি তাতে প্রবেশ করি।’ (সহিহ বুখারি, ৩/৩০)
রোজাদার যদি অত্যধিক পরিশ্রম কিংবা প্রচণ্ড গরমে পিপাসায় কাতর হয়ে যায়। নিজেকে ধরে রাখা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে, তা হলে পানি পান করতে পারবে বা রোজা ভাঙতে পারবে। সেক্ষেত্রে পরে রোজার কাজা আদায় করতে হবে। কাফফারা ওয়াজিব হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে, ২/২৫২; তাবয়িনুল হাকায়েক, ২/১৮)

আরও পড়ুন