নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

তারাবির সারাংশ-১: মুত্তাকি-মুনাফিকের পরিচয় ও হারুত-মারুতের গল্প।

নিউজ ডেস্ক
রবিবার, ১ মার্চ, ২০২৫

পবিত্র রমজান মাসের প্রথম তারাবি পড়া হয়েছে আজ। প্রথম তারাবিতে কোরআনের প্রথম দেড় পারা পড়া হয়। সুরা ফাতিহা ও সুরা বাকারার ১ থেকে ২০৩ নম্বর আয়াত পর্যন্ত। ইসলামের বহু গুরুত্বপূর্ণ বিধানের আলোচনা রয়েছে এই অংশে। কোরআনের বৈশিষ্ট্য, বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী এবং মুনাফিকদের পরিচয়, পৃথিবীতে মানুষের আগমন, ফেরেশতাদের সেজদা, ইবলিশের সেজদায় অস্বীকৃতি ও অহংকার, ইবরাহিম (আ.)-এর কোরবানি, কাবাঘর নির্মাণ, নবিজির (সা.) যুগে কিবলা পরিবর্তনের কারণ ও যৌক্তিকতা, হালাল-হারামের নীতিমালা, অবৈধ পন্থায় সম্পদ উপার্জন, হত্যার অপরাধে হত্যা ও ক্ষমার বিধান, রমজানের রোজা, হজ, খুন, গাভি নিয়ে বনি ইসরাইলের বাড়াবাড়ি, হারুত-মারুতের কাহিনি, চান্দ্র তারিখ ব্যবহারের প্রতি উৎসাহসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবৃত হয়েছে।

কোরআনের মা ও রোগের ওষুধ
নবিজি (সা.)-এর ওপর নাজিলকৃত প্রথম পূর্ণাঙ্গ সুরা এটি। মোট দুবার এই সুরা নাজিল হয়েছে; একবার মক্কায় ও আরেকবার মদিনায়। এটি কোরআনের প্রথম সুরা। ফাতিহা মানে প্রারম্ভিকা। এ সুরার মাধ্যমে কোরআনের শুরু হয়েছে, তাই এর নাম রাখা হয়েছে ফাতিহা। এ সুরাকে ‘ফাতিহাতুল কিতাব বা কোরআনের মুখবন্ধ,  ‘কোরআনের গুপ্তভাণ্ডার’, ‘কোরআনে মা’ ও ‘কোরআনের সার’ বলা হয়। (জামে তিরমিজি, হাদিস: ২৮৭৫)। নামাজে এ সুরা পড়া আবশ্যক।

সুরা ফাতিহার প্রথম তিনটি আয়াতে আল্লাহর প্রশংসা এবং শেষের তিনটি আয়াতে মানুষের পক্ষ থেকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা ও দরখাস্তের বিষয়বস্তুর সংমিশ্রণ। মাঝের একটি আয়াত প্রশংসা ও দোয়া মিশ্রিত। (তাফসিরে মাআরেফুল কোরআন, মুফতি মুহাম্মাদ শফি, অনুবাদ : মাওলানা মহিউদ্দিন খান, পৃষ্ঠা : ২)
সুরা ফাতিহা আল্লাহর পক্ষ থেকে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জন্য বিশেষ নুর—যা অন্য কোনো নবি-রাসুলকে দেওয়া হয়নি। (মুসলিম, হাদিস: ১৭৫০)। শরিয়তসম্মত রুকইয়ার ক্ষেত্রে সুরা ফাতিহার উপকারিতা শীর্ষে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সুরা ফাতিহা মৃত্যু ছাড়া সব রোগের মহৌষধ।’ (শুয়াবুল ইমান, বাইহাকি, হাদিস: ২৩৭০)। সাহাবায়ে কেরাম এ সুরার মাধ্যমে ঝাড়ফুঁক করেছেন। চমৎকার ফলও পেয়েছেন।

আরও পড়ুন