নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

চট্রগ্রামে তীব্র শীত আরো কয়েকদিন।

জানুয়ারি মাসে নগরে দিনের বেলা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হচ্ছে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ এ তাপমাত্রা থাকা স্বাভাবিক। মেঘ বা ঘন কুয়াশার কারণে যখন সূর্যের আলো পৌঁছুতে পারে না তখন কমতে থাকে স্বাভাবিক তাপমাত্রা। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যত কমবে শীতের অনুভূত স্বাভাবিকের চেয়ে কমেছে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। ফলে গত কয়েকদিন ধরে শীত অনুভূত হয়েছে নগরবাসীর।

একইভাবে সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান ১০ ডিগ্রির নিচে এলে বাড়ে শীতের অনুভূতি। এ ব্যবধান যত কমবে শীতের অনুভূতিও তত তীব্র হয়। অর্থাৎ রাত ও দিনের তাপমাত্রার পার্থক্য কমার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে শীত অনুভূতি। গত চার দিনে এ ব্যবধান ছিল ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। গত কয়েকদিনে নগরে শীত অনুভূতি বাড়ার এটিও একটি অন্যতম কারণ। এমন শীত আগামী চার–পাঁচদিন থাকতে পারে।

এদিকে গতকাল শনিবার ঘুন কুয়াশার কারণে দিনের সিংহভাগ সময় সূর্য দেখা যায়নি নগরে। দুপুরের পর দেখা মিলেছে সূর্যের। ফলে গতকালও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে কম। তাই এদিনও শীতের অনুভূতি ছিল বেশি। গতকাল বিকাল ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম।

আবার গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান ছিল ৫ দশমিক ৮৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমে যাওয়া এবং সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কম হওয়ায় গতকালও শীত অনুভূত হয়েছে নগরে।

আবহাওয়াবিদের ভাষায়, সাধারণত মধ্য ডিসেম্বর থেকে মধ্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীতের সময় ধরা হয়। এ সময় সূর্য দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থান করে। ফলে বাংলাদেশে সূর্যের রশ্মি পড়ে তির্যকভাবে। তাই কমতে থাকে তাপমাত্রা। জাঁকিয়ে বসে শীত। অবশ্য এ বছর ডিসেম্বর মাসে খুব বেশি শীত অনুভূত অর্থাৎ চলতি জানুয়ারি মাস থেকে শীতের তীব্রতা বাড়ছে।

 

 

আরও পড়ুন