আমারদেশ২৪
সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় মুসলমানদের পবিত্র রমজান মাস শুরুর মাত্র দ্বিতীয় দিনের মাথায় সব ধরনের মানবিক ত্রাণ সহায়তা প্রবেশের ওপর অবরোধ আরোপের এক সপ্তাহ যেতে না যেতে এবার সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। গতকাল রোববার ইসরায়েলের জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রী এলি কোহেন গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের এক আদেশে স্বাক্ষর করেছেন বলে তথ্য নিশ্চিত করেছে আল-জাজিরা।
এক ভিডিও বার্তায় কোহেন বলেছেন, ‘আমি আজ গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার আদেশে স্বাক্ষর করেছি। জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে এবং যুদ্ধের পরের দিন থেকেই গাজায় হামাসের অস্তিত্ব না থাকার বিষয়টি নিশ্চিতে আমরা আমাদের সব ধরনের উপায় ব্যবহার করব।’
গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের ইসরায়েলি সিদ্ধান্তের পুরো প্রভাব তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার নয়। তবে উপত্যকায় বিশুদ্ধ পানির সব প্ল্যান্ট ইসরায়েলি বিদ্যুতে পরিচালিত হয়।গাজায় বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধের নিন্দা জানিয়েছে উপত্যকাটির শাসক দল হামাস। এক বিবৃতিতে হামাস ইসরায়েলের এ সিদ্ধান্তকে অমানবিক এবং যুদ্ধবিরতির সাথে প্রতারণা হিসেবে উল্লেখ করেছে।
এদিকে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্ত্বেও অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এদিন ৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও বহু ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
গতকাল রোববার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে বার্তা সংস্থা আনাআনাদোলু জানায়, গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্ত্বেও রোববার ইসরায়েলি হামলায় আরও ৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসনে ভূখণ্ডটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৮ হাজার ৪৫৮ জনে দাঁড়িয়েছে
মন্ত্রণালয়ের ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসরায়েলি আক্রমণে রোববার আরও ৩৭ জন আহত হয়েছেন। এর ফলে সংঘাতের শুরু থেকে আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১১ হাজার ৮৯৭ জনে দাঁড়িয়েছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।