দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। তীব্র শীতে জন জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষ গুলো চরম বিপাকে রয়েছে। উত্তরের হিমেল বাতাসের কারণে ঠাণ্ডা জেঁকে বসেছে চুয়াডাঙ্গায়। সন্ধ্যার পর থেকে বইতে শুরু করেছে বাতাস। কুয়াশার চাদরে মোড়া রয়েছে আকাশ। সূর্যের দেখা মিলতে দুপুর পার হয়ে যাবে। জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। একদিনের ব্যবধানে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হ্রাস পেয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ ৯৫ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক জাহিদুল ইসলাম জানান, দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। ঠাণ্ডা বাতাস বইছে চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে। আর আকাশ কুয়াশার চাদরে মোড়া রয়েছে। হিমশীতল বাতাসের কারণে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। গুড়িগুড়ি বৃষ্টির মত কুয়াশা ঝরছে। একদিনের ব্যবধানে জেলায় ২ ডিগ্রি তামপাত্রা হ্রাস পেয়েছে।
গতকাল বুধবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হাড়কাপানো বাতাস ও ঘন কুয়াশার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা।
হিমবাতাস ও ঘন কুয়াশার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শীতের কারণে বেশি দুর্ভোগে রয়েছে খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষ গুলো। সাধারণ মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। সড়কে মানুষের উপস্থিতি তুলনা মূলক কম। শীত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে মানুষ খড়-কুটোয় আগুন জ্বেলে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
মানুষ বেশ কয়েকটি শীতের কাপড় পরিধান করেও শীত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারছেনা। শরীরের কোন অংশ ঢাকা না থাকলে শীতের তীব্রতা সহজে অনুভব করা যাচ্ছে। কুয়াশা আর বাতাস বরফের মত অনুভূত হচ্ছে। সড়কে যানবাহন চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। অনেকে চায়ের দোকানে ভিড় করছে।
চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উজিরপুর গ্রামের দিনমজুর নওশাদ আলি বলেন, ভোরে ঘুম থেকে উঠে কাজের জন্য চুয়াডাঙ্গায় আসতে হয়। এত শীত সাইকেল চালিয়ে শহরে পৌঁছানো কষ্ট সাধ্য ব্যাপার হয়ে দাড়ায়। হাত আবাস হয়ে পড়ে। শরীরের কোন অংশ কাপড়ে ঢেকা না থাকলে বাতাস গিতে যাওয়ার মত অবস্থা তৈরি হয়। কাজও তেমন একটা নেই। মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না শীতের কারণে। সেই জন্য কাজ পাচ্ছি না। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে কাজ না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা ট্রাক চালক জাকির হোসেন জানান, এ এলাকায় চরম শীত পড়ছে। তেমন কুয়াশা রয়েছে আকাশে। কুয়াশার কারণে গাড়ি চালানো কষ্ট হয়ে পড়ছে। হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে দুর্ঘটনা এড়িয়ে চলার জন্য।
চুয়াডাঙ্গা বাড়বাজারের ব্যবসায়ী আবু বক্কর বলেন, শীতের জন্য মানুষ কম চলাচল করছে বাইরে। দোকান খোলা থাকলেও বিক্রি নেই। যাদের প্রয়োজন তারাই বাজারে আসছেন। শীতের তীব্রতা অনেক বেশি দিনে ও রাতে।