নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

দেশে এইচএমপিভি আক্রান্ত রোগী শনাক্ত।

সোমব, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫
দেশে একজনের শরীরে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) শনাক্ত হয়েছে। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান ডা. আহমেদ নওশের আলম এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আর স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, আক্রান্ত নারীর শ্বশুরবাড়ি নরসিংদী জেলায়। তার বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস নেই। বর্তমানে তিনি রাজধানীর মহাখালী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।  এইচএমপিভি ও ব্যাকটেরিয়া হচ্ছে ক্লেবসিয়েলা নিউমোনিয়া। বর্তমানে তিনি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) আছেন।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, ভাইরোলজিস্ট ও কীটতত্ত্ববিদরা বলছেন, দেশে এইচএমপিভি ভাইরাসটি নতুন নয়। এই রোগ বাংলাদেশে ছিল। দেশে আগেই এই ভাইরাসে অনেকেই শনাক্ত হয়েছেন। প্রতি বছরই কম-বেশি শনাক্ত হয়। পৃথিবীর সব দেশেই এই ভাইরাস আছে। আর ভাইরাসটি তেমন ক্ষতিকারক নয় এবং করোনার তুলনায় মোটেও শক্তিশালী নয়। সুতরাং এই ভাইরাস নিয়ে আমাদের দেশে উদ্বিগ্ন বা আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই। তবে সতর্ক থাকতে হবে।
তারা বলছেন, এইচএমপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত হলে লক্ষণ ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো। সাধারণত শ্বাসতন্ত্র আক্রান্ত হয়। উপসর্গ মৃদু। যা সাধারণত ২ থেকে ৫ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। আক্রান্ত ব্যক্তির ঠান্ডা, সর্দি-কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও র‌্যাশ ওঠার মতো লক্ষণ দেখা যায়। তবে শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে নিউমোনিয়ার মতো মারাত্মক জটিলতা তৈরি করতে পারে। এ ছাড়াও যারা নানা ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত, তাদের জন্য এটি প্রাণঘাতী হতে পারে।
এরই মধ্যে এইচএমপিভি ভাইরাস প্রতিরোধে ৭ দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ ছাড়াও ভাইরাসটি প্রতিরোধে সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিভিল সার্জন, জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা, দেশের সব বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও সব বন্দরে সতর্কতা জারিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন