আমারদেশ২৪
সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫
২০২৩ সালে ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে শিরোপা খোয়াতে হয়েছিল ভারতকে। রোহিত শর্মার অধিনায়কত্বে সেবার শিরোপা হাতছাড়া হলেও একদিনের ক্রিকেটের আইসিসি টুর্নামেন্টে এবার ঠিকই সফল ভারত। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে আজ নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছে রোহিতের দল। এই জয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর টানা দ্বিতীয় আইসিসি শিরোপা ঘরে তুললো ভারত। কিউইদের দেওয়া ২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনিংয়ে ব্যাট হাতে দাপুটে সূচনা এনে দিয়েছেন অধিনায়ক রোহিত। তিনি খেলেছেন ৮৩ বলে ৭৬ রানের ইনিংস। এরপর শ্রেয়াস আইয়্যারের ৪৮ ও শেষদিকে লোকেশ রাহুলের রানের অপরাজিত ইনিংসের সুবাদে ৪৯ ওভারে ৪ উইকেটের জয়ের দেখা পায় ভারত।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে টিসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার। এরপর ব্যাট করতে নেমে দলকে ভালো শুরুই এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার রাচীন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং। তবে বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদবের ঘূর্ণিতে দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ব্ল্যাক ক্যাপসরা। পরে ডেরিল মিচেলের ৬৩ ও মাইকেল ব্রেসওয়েলের ৫৩ রানের ইনিংসের সুবাদে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রানের সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড। এ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বল হাতে রেখেই উইকেটের জয় নিশ্চিত করে ভারত।
২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনিংয়ে কিউই বোলারদের বিপক্ষে আজ শুরু থেকেই আগ্রাসী ভঙ্গিতে খেলছেন রোহিত। গিল রক্ষণাত্মক খেললেও চার-ছয়ের পসরা সাজিয়েছিলেন ভারতের অধিনায়ক।
কিউই বোলারদের বিপক্ষে আগ্রাসী ভঙ্গিতে খেলে আজ ৪১ বলে ফিফটির দেখা পান রোহিত। প্রথম পাওয়ার প্লে তে গিলকে সঙ্গে নিয়ে তিনি স্কোরবোর্ডে তুলেন ৬৪ রান। এ দুজনের জুটিতেই দলীয় ১০০ রানের সংগ্রহ পার করে ভারত। তবে ১০৫ রানে মিচেল স্যান্টনারের বলে গ্লেন ফিলিপ্সের বিস্ময়কর এক ক্যাচে সাজঘরের পথ ধরতে হয় গিলকে। ফেরার আগে তিনি ৫০ বলে করেন ৩১ রান।
এদিকে গিল ফেরার পর ক্রিজে রোহিতের সঙ্গী হন কোহলি। তবে অভিজ্ঞ এই ব্যাটার আজ দলের হাল ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন। রানের খাতা খুললেও দুই অঙ্কের দেখা পাননি তিনি। ২ বলে ১ রান করে কোহলি সাজঘরে ফিরেছেন ব্রেসওয়েলের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে। এরপর ক্রিজে রোহিতের সঙ্গী হন শ্রেয়াস আইয়্যার। তবে আইয়্যারের সঙ্গে আর বড় জুটি গড়তে পারেননি রোহিত। এ জুটিতে স্কোরবোর্ডে ১৬ রান যোগ হতেই ফিরতে হয় রোহিতকে।
রাচীন রবীন্দ্রর বলে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ে আউট হন রোহিত। দলীয় ১২২ রানে রোহিত সাজঘরে ফেরার পর অক্ষর প্যাটেলকে নিয়ে দলের হাল ধরেন আইয়্যার। ফর্মে থাকা আইয়্যার আজও দলকে চাপমুক্ত করেন। অক্ষরকে নিয়ে তিনি গড়েছিলেন ৬১ রানের জুটি, ছিলেন ব্যক্তিগত অর্ধশতকের পথে। তবে জীবন পেলেও কাজে লাগাতে পারেননি তিনি, আউট হন ৪৮ রান করে। আইয়্যার ফেরার পর অক্ষরও আউট হন ৪০ বলে ২৯ রান করে।