‘প্রস্তাব দেওয়ার কাজ সংস্কার কমিশনের, বাস্তবায়ন করবে সরকার’ উল্লেখ করে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমরা আশা করছি নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবগুলো আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারের কাছে পেশ করতে পারব। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। আমাদের কাজের সাথে নির্বাচন কমিশনের কাজের কোনো সাংঘর্ষিক বিষয় নেই। আমরা চাই, বর্তমান নির্বাচন কমিশন জাতিকে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেবে
তিনি বলেন, সভায় নানা শ্রেণির মানুষ বক্তব্য রেখেছেন। সাধারণ মানুষ আর ব্যবহৃত হতে চান না। তারা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চাইছেন। প্রশাসনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাও বক্তব্য রেখেছেন। উনারাও ব্যবহৃত হতে চান না। তারাও সুষ্ঠু নির্বাচন চান। সেভাবেই তারা দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি বলেন, প্রার্থীদের হলফনামায় অনেক রকম ভুয়া, বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দেওয়া হয়। তথ্য গোপন করা হয়। এগুলো যাতে যাচাই–বাছাই করা হয়, সে সংক্রান্ত প্রস্তাব দেওয়ার কথা বিবেচনা করছি। আমাদের প্রস্তাবগুলো এখনো চূড়ান্ত হয়নি। নির্বাচন কমিশনে যারা আছেন তারা সঠিক ব্যক্তি, এটি আমরা বিশ্বাস করতে চাই। আমাদের আশা, তারা একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারবেন।
তিনি বলেন, সংখ্যানুপাতিক আসনের পক্ষে–বিপক্ষে প্রস্তাব রয়েছে। দু পক্ষের বক্তব্যকেই আমরা বিবেচনায় নিচ্ছি। তবে কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলোর জন্য সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। এটির জন্য আবার আলাদা কমিশন রয়েছে। এ কমিশনকে এ বিষয়ে সুপারিশ করতে হবে।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, প্রত্যেকেই অবাধ, সুষ্ঠু, নির্বাচন দেখতে চান। আবার যেন আগের মতো নির্বাচন না হয়। আবার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে। এই যে অপরাধের যেসব ঘটনা ঘটেছে, হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং একই সঙ্গে আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে, এটার যেন অবসান হয়। রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও দায়িত্বশীল সুপারিশ এসেছে। তারাও চায় যে, একটা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে যদি স্বাধীনভাবে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে একটি চমৎকার, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা সম্ভব। নির্বাচন ব্যবস্থাকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখা গেলে প্রশাসন সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাবে। আমরা আশা করছি, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাবে