নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

নুহ নবীর (আ.) নৌকা ও ইউসুফ (আ.)-এর চমকপ্রদ গল্প।

আমারদেশ২৪ প্রতিবেদকঃ
রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫

পবিত্র কোরআনের ১২তম পারা তেলাওয়াত করা হবে আজকের খতমে তারাবিতে। সুরা হুদের ৬ থেকে সুরা ইউসুফের ৫২ নম্বর আয়াত পর্যন্ত। এই অংশে তাওবা-ইসতেগফার, আল্লাহর ইবাদত করা, তাঁর ইবাদতের দিকে মানুষকে আহ্বান, কোরআনের ব্যাপারে কাফেরদের সংশয়, পবিত্র কোরআন অকাট্য নির্ভুল এবং ধ্রুব সত্য, দৃঢ়তার সঙ্গে ইসলামে অটল থাকা, সৃষ্টিতত্ত্ব, পূর্ববর্তী নবি-রাসুলদের দাওয়াত, তাঁদের প্রতি নিজ সম্প্রদায়ের বিরূপ আচরণ, কাফেরদের প্রতি আল্লাহর আজাব, দ্বিতীয় মানবসভ্যতার সূচনা, জাতীয় জীবনে বিপর্যয়ের কারণ, বান্দার জন্য আল্লাহর পুরস্কার ও ইউসুফ (আ.)-এর জীবনের চমকপ্রদ গল্প ইত্যাদি বিষয়ের বর্ণনা আছে।

আল্লাহ সবার রিজিকদাতা
রিজিক সম্পর্কিত আয়াত তেলাওয়াতের মাধ্যমে নবম তারাবি শুরু হবে। আল্লাহ বলেন, ‘ভূপৃষ্ঠে বিচরণকারী সবার জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহরই।’ (সুরা হুদ, আয়াত : ৬ )। পৃথিবীর জলে-স্থলে, বৃক্ষে-লতাগুল্মে আর বনে, গুহা-গর্তে, আকাশে এবং পাতালে; যত জায়গা হতে পারে এবং যত জায়গায় প্রাণী থাকতে পারে, তাদের প্রত্যেকের আহারের ব্যবস্থা আল্লাহ তাআলা করে রেখেছেন। আকাশে বিচরণকারী সৃষ্টিজীবের জন্যও খাবার আছে। গভীর সমুদ্রের তলদেশে অবস্থানকারী প্রাণীও সময়মতো খাবার পাচ্ছে। গর্তের ক্ষুদ্র পিঁপীলিকা কিংবা এর চেয়ে ক্ষুদ্র প্রাণীও আহার পাচ্ছে। মায়ের উদরে জন্ম নেওয়া শিশুর খাবার, ভূমিষ্ট শিশুর জন্য মায়ের বুকে দুধের ব্যবস্থাÑসবই আল্লাহর দায়িত্বে। সবার রিজিকদাতা তিনি। কারণ তিনি সব প্রাণীর মালিক। সব প্রাণী তার দাস। তাই রিজিক নিয়ে কখনো ভয় করা যাবে না। মানুষের কাজ হচ্ছে চেষ্টা করে যাওয়া। রিজিক অনুসন্ধান করা।

কোরআনের চ্যালেঞ্জ
কোরআন যে আল্লাহর কালাম, তা আরবের অনেকে অস্বীকার করেছিল। সুরা হুদের ১৩ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেছেন, যদি মানুষের বানানো হয়ে থাকে, তা হলে এর মতো অন্তত একটি সুরা বানিয়ে দেখাও। কোরআন অস্বীকারকারীদের সর্বমোট তিনবার চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে। প্রথমে পুরো কোরআনের মতো আরেকটি গ্রন্থ সৃষ্টির চ্যালেঞ্জ, তারপর ১০ সুরা, তারপর সুরা বাকারায় শুধু একটি সুরা বানিয়ে আনার চ্যালেঞ্জও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিন তিনবারই এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে তারা অক্ষম হয়েছে।

মানুষ দুই ধরনের
সুরা হুদের ১৫ থেকে ২৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা দুই ধরনের মানুষের পরিচয় তুলে ধরেছেন। এক. অবিশ্বাসী, দুই. বিশ্বাসী। অবিশ্বাসীদের সব ব্যস্ততা, কাজকর্ম ও চেষ্টা শুধু দুনিয়াকে ঘিরে। তারা সারাক্ষণ দুনিয়ার ভাবনায় বিভোর থাকে। প্রতিদিনই নতুন করে দুনিয়া সাজাতে চায়। তারা আল্লাহ ও পরকাল স্মরণ করে না। অপরদিকে বিশ্বাসীরা দুনিয়ার জন্য প্রয়োজনমতো জীবনধারণের ব্যবস্থায় কাজ করলেও তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য থাকে আখেরাতের প্রতি। তারা পরকাল সামনে রেখে দুনিয়া সাজায়। আল্লাহকে পেতে জীবন গড়ে। অবিশ্বাসীদের উপমা দেওয়া হয়েছে অন্ধ ও বধিরের সঙ্গে, আর বিশ্বাসীদের উপমা দেওয়া হয়েছে চক্ষুষ্মান ও শ্রবণশক্তিসম্পন্ন ব্যক্তির সঙ্গে।

আরও পড়ুন