আমারদেশ২৪ ডেস্ক:
প্রকাশ: বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৫
মার্কিন শুল্ক নিয়ে কিছুটা স্বস্তির তথ্য মিলেছে। দেশটিতে বাংলাদেশ থেকে যতো রকম পণ্য রফতানি হয় তার তালিকা এবং কোন পণ্যে কেমন শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে সে তথ্যও জানা গেছে। এতে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যসহ এ রকম কিছু প্রধান পণ্যের ওপর ওই বর্ধিত শুল্ক আরোপ করা হয়নি বা ওইসব পণ্য বর্ধিত শুল্কের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) পক্ষ থেকে বিষয়টি আজ বুধবার (৯ এপ্রিল) নিশ্চিত করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম হোসেন সময়ের আলোকে বলেন, ‘মূলত মার্কিন জনগণের জন্য যেসব পণ্য গুরুত্বপূর্ণ এবং লো-ইনকাম জনগণের জীবনঘনিষ্ঠ পণ্যগুলো বর্ধিত শুল্কের আওতামূক্ত রাখা হয়েছে। অর্থাৎ এসব পণ্যের ক্ষেত্রে আগে থেকে যে হারে শুল্ক নির্ধারণ করা রয়েছে, সে হারেই শুল্ক কর্তন করা হবে। বাংলাদেশ যে ধরণের পণ্য রফতানি করে থাকে, যেমন-গার্মেন্টস, টেক্সটাইল, লেদার, ফুটওয়্যার-এ রকম পণ্য বর্ধিত শুল্কের বাইরে রাখা হয়েছে। এটি অবশ্য শুধু বাংলাদেশের জন্য না, অন্যান্য দেশও যারা এসব পণ্য রফতানি করে থাকে-তাদের ক্ষেত্রেও এ বিধান রাখা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে বর্ধিত শুল্কের কারণে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের পাঠানো পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির যে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, সে আশঙ্কা এখন আর অতোটা থাকছে না। তবে সামগ্রিকভাবে মার্কিন বাজারে উচ্চ মূল্যস্ফীতির আশঙ্কা রয়েছে বা অর্থনীতিতে মন্দাভাবের কারণে কর্মসংস্থান কমে যেতে পারে। এসব কারণে মার্কিন ভোক্তার জীবনে যে ধরণের প্রভাব পড়বে সে কারণেও বাংলাদেশের পণ্য ক্রয় কমতে পারে। তাহলেও মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের রফতানি আয় বাধাগ্রস্ত হবে বা আয় কমবে। তবে এটা নিশ্চিত করে বলা যায়, মার্কিন জনগণের জীবনঘনিষ্ঠ যেসব পণ্য রয়েছে, সেগুলোকে ওই বর্ধিত শুল্ক হারের বাইরে রাখা হয়েছে। আর বাংলাদেশ মার্কিন বাজারে সাধারণ মানুষের জীবনঘনিষ্ট পণ্যই বেশি রফতানি করে।’
তিনি আরো বলেন, ‘তবে বাংলাদেশের কৃষি পণ্য, ক্যামিকেল পণ্য, শিল্পের কাঁচামাল এবং ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের মতো কিছু পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক ধার্য হবে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের যে বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে সে ঘাটতি কমাতে মার্কিন সরকারের তরফ থেকে বাংলাদেশের ওপর চাপ অব্যাহত থাকবে।