নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

সর্বশেষ
চট্টগ্রামে চোর চক্রের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার, উদ্ধার ১০ ভরি স্বর্ণ। আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার ৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ। এনসিপির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনলেন : মির্জা আব্বাস। নগরীতে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামী গ্রেপ্তার। ডিএমপি কমিশনারের পক্ষে স্বাক্ষরিত আদেশের কার্যকারিতা ৩ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সাতকানিয়ার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানকে  লোহাগাড়ায় পুলিশ দেখে পালানোর চেষ্টা, অস্ত্র-গুলিসহ যুবক গ্রেপ্তার। শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত সায়েন্সল্যাব, ২ দিন বন্ধ থাকবে ঢাকা কলেজ। নারায়ণগঞ্জে ১৬ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে চাকরির সুযোগ।

প্রতীক্ষায় শ্রমিকরা অসংখ্য কারখানায় বেতন বোনাস হয়নি এখনো।

 নিউজ ডেস্কঃ
 বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫
দেশের অসংখ শিল্প-কারখানায় ঈদের আগে বেতন-বোনাস হয়নি এখনো। পোশাক ও বস্ত্রখাতের শিল্প কারখানা, বেপজার অধিনস্থ কারখানা এবং পাটকলসহ অন্যান্য আরো কিছু খাত মিলে মোট ৯ হাজার ৬৯৫ টি শিল্প কারখানার মধ্যে মার্চ মাসের বেতন এখনো দেওয়া হয়নি ৭ হাজার ২২৪টি কারখানাতে।
আর এখনো ১২২টি পোশাক কারখানাতে ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন এবং ৩০টিতে জানুয়ারি মাসের বেতন দেওয়া হয়নি। এছাড়া এখনো ঈদ বোনাস দিতে পারেনি ৭২৩টি পোশাক কারখানা। জানুয়ারি বা তারও আগের বেতন বকেয়া রয়েছে ৩০টি কারখানায়। শিল্প পুলিশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
শিল্প পুলিশের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ এবং বেপজার অধীন মোট দুই হাজার ৮৯০টি পোশাক কারখানা বর্তমানে চালু রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ফেব্রুয়ারির বেতন পরিশোধ করেছে দুই হাজার ৭৬৮টি প্রতিষ্ঠান। আরও ৩০টি কারখানার শ্রমিকদের জানুয়ারি বা তার পূর্ববর্তী মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে।
চলতি মার্চের জন্য ৪২২টি কারখানা শ্রমিকদের অর্ধেক বেতন অগ্রিম পরিশোধ করেছে। শ্রমিকদের বেতন পরবর্তী মাসের প্রথম সাত কর্মদিবসের মধ্যে পরিশোধের কথা থাকলেও এখনো কিছু কারখানা তা মানতে পারেনি। যদিও শ্রম আইন অনুযায়ীই এ বিধি রয়েছে।
তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল খাতের ২ হাজার ১৬৭টি কারখানা এরই মধ্যে ঈদুল ফিতরের বোনাস পরিশোধ করেছে। এখনো ৭২৩টি কারখানা ঈদ বোনাস পরিশোধ করতে পারেনি, যা মোট কারখানার প্রায় ২৫ শতাংশ।
শিল্প পুলিশ সূত্র জানায়, পাটকলসহ অন্য শিল্প কারখানাগুলো মিলিয়ে দেশের মোট ৯ হাজার ৬৯৫টি কারখানার মধ্যে ঈদুল ফিতরের বোনাস পরিশোধ করেছে ৬ হাজার ৬৭৩টি প্রতিষ্ঠান। যার মধ্যে মার্চের বেতন পরিশোধ করেছে এক হাজার ৮৩৫টি কারখানা। এখনো ৭ হাজার ৮৬০টি কারখানায় মার্চের বেতন বকেয়া রয়েছে। এটি মোট কারখানার প্রায় ৮১ দশমিক ৭ শতাংশ।
অন্যদিকে, সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ না করায় ১২টি কারখানার মালিকের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এসব কারখানার মালিকরা শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ না করা পর্যন্ত বিদেশ যেতে পারবেন না।
নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে গত মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নৌ পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ২৭ মার্চের মধ্যে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করার কথা। কিন্তু ১২টি কারখানা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে পারছে না বলে জানিয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি কারখানায় অসন্তোষ চলছে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে পারছে না তাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আমরা শ্রম আইন অনুযায়ী এদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেবো- বলেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।বেতন-বোনাস প্রদান সংক্রান্ত বিষয় বলেন, ‘প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি কারখানার সব রকমের পাওনা পরিশোধ করা হয়ে গেছে। চলতি মার্চের বেতনের একাংশও কারখানা মালিকরা পরিশোধ করে ছুটি ঘোষণা করবেন। এখনো কোথাও বেতন-ভাতা নিয়ে সেরকম দাবি-দাওয়া শুরু হয়নি। তবে ঈদের ছুটির আগে এখনো যে দুই দিন আছে তার মধ্যেই বাকিগুলোতে বেতন-বোনাস দেওয়া হয়ে যাবে।’
এদিকে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বিকেএমইএ-এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ব্যাংকগুলো যদি দ্রুত অর্থ দিয়ে দেয় তাহলে কর্মীদের বেতন-ভাতা দিতে কোনো সমস্যা হবে না। সরকার অবশ্য এবছর অর্থ ছাড় বেশি করেছে। তাই মনে করি, ঈদের আগে এবার বেতন-বোনাস নিয়ে তেমন কেনো বড় সমস্যা হয়নি, আশা করি আর সমস্যা হবেও না।

 

আরও পড়ুন