শনিবার ১১ জানুয়ারি ২০২৫
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছেন। ছেলে, পুত্রবধূ ও নাতনিদের সান্নিধ্যে বেশ ভালো সময় কাটাচ্ছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। সার্বক্ষণিক দায়িত্বে আছেন দুই পুত্রবধূ। আর বেশির ভাগ সময় দাদির সঙ্গেই কাটাচ্ছেন তিন নাতনি।
শুক্রবার লন্ডন থেকে খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের এক সদস্য এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আপনজনের সান্নিধ্যে পাওয়ায় লম্বা ভ্রমণের পরও শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে তার। দি লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তির পর কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। কয়েকটি রিপোর্ট আসার পর পর্যালোচনা করে চিকিৎসকরা ওষুধ প্রয়োগ করছেন। অন্যান্য রিপোর্ট পাওয়ার পর মেডিকেল বোর্ড বসে লিভার প্রতিস্থাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া হবে কিনা প্রশ্নে মেডিকেল বোর্ডের ওই সদস্য বলেন, লন্ডন ক্লিনিকে খুবই উন্নতমানের চিকিৎসা হয়। মনে হয় না ম্যাডামকে অন্য কোথাও নেওয়ার প্রয়োজন পড়বে। তবে বোর্ড সিদ্ধান্ত দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, ডা. জুবাইদা রহমান ও শর্মিলা রহমান (প্রয়াত কোকোর স্ত্রী) সার্বক্ষণিক শাশুড়ির যত্ন নিচ্ছেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী ডা. জুবাইদা রহমান বাসা থেকে রান্না করে খাবার শাশুড়িকে খাওয়াচ্ছেন। বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত হাসপাতালে দাদির পাশে ছিলেন নাতনি ব্যারিস্টার জাইমা রহমান, জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমান।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক জানান, সংগঠনের সেক্রেটারি কয়সর এম আহমেদ, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের একজন ও তার লন্ডন ক্লিনিকে প্রবেশাধিকার রয়েছে। ছেলে, দুই পুত্রবধূ ও তিন নাতনিকে কাছে পেয়ে মানসিকভাবে ভালো আছেন।
লন্ডনে বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন ব্রিফিংয়ে বলেন, দু-এক দিনের মধ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ হবে। বড়দিনের ছুটিতে এখনো কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন। তারা এসে খালেদা জিয়াকে দেখার পর চিকিৎসা পদ্ধতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন। বাংলাদেশ থেকে আসা চিকিৎসা বোর্ডের সদস্যরাও তাদের সঙ্গে পরামর্শ অব্যাহত রেখেছেন।