বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শারমিন রেজওয়ানা বিভিন্ন ব্যক্তিদের নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর, অবমাননাকর, কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল পোস্ট করে সরকারি চাকরি বিধিমালা লঙ্ঘন করায় তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত শিক্ষিকা এর আগেও একাধিক চিকিৎসক, প্রকৌশলী ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। ২০২৪ সালে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি, যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। শারমিন রেজওয়ানা তার ব্যক্তিগত আইডি থেকে সাবেক একজন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, নরসিংদী জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতা, একজন কলেজের অধ্যক্ষ ও প্রকৌশলীসহ ৮ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় আপত্তিকর মন্তব্য করেন। এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষিকাকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নিরঞ্জন কুমার রায় বলেন, ‘শারমিন রেজওয়ানার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তিকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। তার কিছু ডকুমেন্টস আমাদের হাতে এসেছে। ডকুমেন্টের উপর ভিত্তি করে সাময়িক বহিষ্কার করেছি। আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
অভিযুক্ত শারমিন রেজওয়ানাকে কল দেওয়া হলে তিনি কল রিসিভ করেননি। তবে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্টে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আমি বিভিন্ন ব্যক্তিকে হয়রানি করেছি, এটা ঠিক। কিন্তু চাকরি চলে গেলে আমাকে রাস্তায় বসতে হবে। তাই আমার কৃতকর্মের জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।’