নিউজ ডেস্কঃ
রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫
দুর্নীতির দায়ে ২০১৫ সালে লন্ডনের আদালত জরিমানা করার পর ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার থেকে আজীবন বহিষ্কৃত ফ্যাসিবাদের দোসর সীমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান হিমায়িত মাছের ব্যবসায়ী ইকবাল আহমদ ওবিই এনআরবি ব্যাংকের পরিচালক (চেয়ারম্যান) হওয়ায় নানা প্রশ্ন উঠেছে। দেখা দিয়েছে উদ্বেগ।
গত ১২ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের এক আদেশে তাকে নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক করা হয়। এতে ব্যাংকের প্রতি আস্থাহীনতায় ভুগতে শুরু করেছেন গ্রাহকরা।
বলা হচ্ছে, আওয়ামী লীগ সরকারের লুটপাটের সহযোগী, হিমায়িত মাছ ব্যবসার আড়ালে অবৈধ চোরাচালান চালিয়ে রাতারাতি দেশ-বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক বনে যাওয়া, যার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেতারা লুটপাটের টাকা হুন্ডিযোগে বিভিন্ন দেশে পাচার করেছেন, এভাবে যিনি শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হয়ে আওয়ামী লীগের ১৪ বছর লুটপাট করেছেন তাকে এনআরবি ব্যাংকের শীর্ষ পদে বসানো হলো কিভাবে?
বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের মতো জুলাই বিপ্লবে পাওয়া নতুন বাংলাদেশে ফের এই ইকবালদের মাধ্যমে লুটপাট হোক তা চাইছেন না ব্যাংকসংশ্লিষ্টরা। তারা এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অনুসন্ধান বলছে, শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ইকবালের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠতা ছিল। এ সংক্রান্ত বেশ কিছু ছবিও পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশে গত ১২ মার্চ এনআরবি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্ত করে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হয়। ৭ সদস্যের এ পরিচালনা পর্ষদে ইকবালকে পরিচালক এবং অন্যদের স্বতন্ত্র পরিচালক করা হয়। অর্থাৎ ইকবাল এনআরবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান হচ্ছেন।