নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

বছরেও চালু হয়নি পানি শোধনাগার।

 শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় ভূগর্ভস্থ পানি শোধনাগারের নির্মাণকাজ সাত বছর আগে শেষ হলেও পানি সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি আজও। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পানি শোধনাগারটিতে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের পর কয়েকটি স্তরে ফিল্টার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পানি সরবরাহ করার অত্যাধুনিক ব্যবস্থা থাকলেও সুফল পাচ্ছেন না গ্রাহকরা।
দীর্ঘসময় বন্ধ থাকায় নষ্ট হয়ে গেছে মূল্যবান জিনিসপত্র। পুরোপুরি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এটি। পরিণত হয়েছে জঙ্গলে। ওভারহেড ট্যাঙ্ক ও শোধনাগারটি এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। ভূগর্ভস্থ পানি শোধনাগার ও ওভারহেড পানির ট্যাঙ্ক নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় ১০ কোটি টাকা।
পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, লোকবল সংকট ও বিদ্যুৎ বিল বেশি হওয়ায় পানি শোধনাগারটি চালু রাখা সম্ভব নয়। এমন পরিস্থিতিতে বিশুদ্ধ পানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পৌর এলাকার অন্তত দুই লাখ মানুষ। পানি শোধনাগারটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে চালুর দাবি স্থানীয়দের।
এ প্রসঙ্গে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম রেজাউল করিম বলেন, পানি শোধনাগারটি বন্ধ রয়েছে। এটি চালু রাখা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এটি চালু রাখলে প্রতি মাসে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল আসবে যা পৌরসভার পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। এ ছাড়া লোকবল সংকটও রয়েছে। তবে কোনো প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা পেলে চালু করা সম্ভব হবে। চালু হলে গ্রাহকরা বিশুদ্ধ পানি পাবে। প্রয়োজনে আমরা নতুন করে পরিকল্পনা গ্রহণ করব।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাম্প হাউসগুলো সরাসরি পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করছে। সরবরাহকৃত পানি খাওয়া ও ব্যবহারের অনুপযোগী। ময়লা, আয়রন ও দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন গ্রাহকরা। ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন ভূগর্ভস্থ পানি শোধনাগার নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ৩৭ জেলা শহর পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ছাগলফার্ম পাড়ায় ভূগর্ভস্থ পানি শোধনাগার নির্মাণকাজ ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে শুরু হয়, শেষ হয় ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে।
নির্মাণকাজ ও হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ হলেও আজ অবধি বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। এর ফলে পৌর এলাকার মানুষ বিশুদ্ধ পানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। বাধ্য হয়ে ফিল্টার করা ব্যতীত সরাসরি পাইপ লাইনের মাধ্যমে সরবরাহ করা নোংরা পানি ব্যাবহার করতে হচ্ছে গ্রাহকদের। শোধনাগারের পানি সংরক্ষণ করার জন্য ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর ওভারহেড ট্যাঙ্ক নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন সে সময়ের পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু। ৬৮০ ঘনমিটার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ওভারহেড পানির ট্যাঙ্ক নির্মাণ করা হয়।

আরও পড়ুন