নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের আরও ভাল সম্পর্ক মজবুত হচ্ছে।

ভূরাজনীতিতে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করতে বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ (জিডিআই) বাস্তবায়ন করতে চায় চীন। ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের সময়েই এই উদ্যোগে যুক্ত হতে ঢাকাকে আমন্ত্রণ জানায় বেইজিং। চলতি ২০ জানুয়ারি চার দিনের সফরে বেইজিং যাচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। বাংলাদেশকে কাছে পেতে এই সফরে ডিজিআই ইস্যুতে জোর দিতে পারে বেইজিং।
মূলত বিশ্ব-রাজনীতি নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চীন তাদের নেতৃত্বে বেশকিছু উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে জিএসআই এবং জিডিআই অন্যতম। এর আগে ২০১৬ সালে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগে (বিআরআই) যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ।
এখন জিডিআই উদ্যোগে যোগ দিলে বাংলাদেশ চীন থেকে উন্নয়ন সহযোগিতা পাবে। এতে উন্নয়ন সহযোগিতার পাশাপাশি চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
বাংলাদেশ-চীন দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, চীন অনেক আগেই তাদের নেতৃত্বে বৈশ্বিক নিরাপত্তা উদ্যোগ (জিএসআই) এবং বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগে (জিডিআই) যোগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানায়। তবে বিগত হাসিনা সরকারের আমলে ঢাকা বেইজিংকে জানায়, এ মুহুর্তে ঢাকা আরও পর্যবেক্ষণ করতে চায়। এরই মধ্যে জিডিআই সংক্রান্ত সব নথিপত্র বেইজিং ঢাকার সঙ্গে শেয়ার করেছে।
চীন এসব উদ্যোগের মধ্য দিয়ে যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের পরিধি আরও শক্তিশালী করার এবং অন্যদের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে তা কারোরই অজানা নেই। তাই এসব উদ্যোগে ভেবে-চিন্তে পা ফেলতে চায় ঢাকা। কেননা এসব উদ্যোগে যুক্ত হলে সুবিধা পাওয়ার পাশাপাশি ঝুঁকিও রয়েছে। চীনবিরোধী বৈশ্বিক শক্তিগুলো এসব উদ্যোগকে কীভাবে দেখছে এবং এতে যোগ দিলে তাদের প্রতিক্রিয়া কেমন হবে; তা জানা-বোঝার চেষ্টা করছে ঢাকা। যে কারণে ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকার জিডিআই ইস্যুতে বেইজিংকে জানিয়েছিল যে এই ইস্যুতে ঢাকা আরও পর্যবেক্ষণ করতে চায়। এখনকার অন্তর্বর্তী সরকারও হুট করে কোনো রাজনৈতিক সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। তবে এটি ইতিবাচক হলে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ এগিয়ে রাখতে পারে।

আরও পড়ুন