নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে থাকুক, চায় না ভারত : অলি আহামদ।

আমারদেশ২৪ ডেস্ক:

রবিবার , ১৩ এপ্রিল, ২০২৫

দেশের সশস্ত্র বাহিনীর কোনো সদস্যকে প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে না পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান অলি আহমদ। গতকাল শনিবার ঢাকায় এক সেমিনারে তিনি বলেন, আমাদের বুঝতে হবে, ভারত কখনো বাংলাদেশের উন্নয়ন চায় না। বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে থাকুক, তা তারা চায় না। তারা এ দেশকে শোষণ ও শাসন করতে চায়। এ ব্যাপারে কারো দ্বিধা–দ্বন্দ্ব থাকার অবকাশ নাই।

তিনি বলেন, প্রশিক্ষণের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর কোনো সদস্য যেন ভারতে পাঠানো না হয়, এটার জন্য সেনাপ্রধানকে বা অন্যান্য প্রধানদের অনুরোধ করব। কারণ ওখানে যাওয়ার পর অনেকে অনৈতিক সমস্যায় জড়িয়ে পড়তে পারেন। অতীতে অনেকে জড়িয়ে পড়েছেন, যেমন হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ। বিস্তারিত আমি বলতে চাই না, কারণ আমি জানি ঘটনাগুলো।

অলি আহমদ বলেন, সেনাপ্রধান হওয়ার আগে অনেকে ভারতের দেওয়া ১৮–২০টা শর্তের ওপর দস্তখত করেছে। এ কথা সকলে জানে, কিন্তু বলে না। এছাড়া বিভিন্ন সময় সশস্ত্র বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হওয়া বা প্রমোশনের জন্য ভারতের শরণাপন্ন হয়েছেন। সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা বলেন, সর্বপ্রথম এরশাদই ভারতের সাহায্য নিয়ে ক্ষমতা দখল করে। ২০০৮ সালে জেনারেল মঈন ইউ আহমদ নিজের এবং নিজের পরিবারের নিরাপত্তার জন্য ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। ‘রাষ্ট্র সংস্কার–রাজনীতির প্রভাবমুক্ত সশস্ত্র বাহিনী’ শিরোনামে এ সেমিনার আয়োজন করে অবসরে যাওয়া সেনা কর্মকর্তাদের সংগঠন রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন–রাওয়া। অলি আহমদ বলেন, ভারত হল আমাদের মূল সমস্যা, এটা বুঝতে হবে আপনাদের। তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। আপনারা দেখেছেন, হাসিনাকে পাহাড়া দেওয়ার জন্য, বিডিআরের অভ্যন্তরে যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেখানে ব্ল্যাক ক্যাট জড়িত ছিল ভারতের। আমাদের ক্যাটগুলো তো জড়িত ছিলই, কিন্তু ভারতের ব্ল্যাক ক্যাট জড়িত ছিল

৫ অগাস্ট গণ–অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, এবার আপনারা দেখেন ভারতের ব্ল্যাক ক্যাটগুলো তিনটা কালো বাসে করে ক্যান্টনমেন্ট থেকে তারা বের হয়েছিল, এবং এয়ারপোর্টে কীভাবে তারা পালাচ্ছিল, এটাতো কারো অজানা নয়। ভারতের ব্ল্যাক ক্যাটই ছিল হাসিনার পাহারাদার ও আমাদের জনগণকে হত্যার জন্য মুখ্য ভূমিকা পালনকারী। তাদের ব্যাপারে আমাদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে।

 

আরও পড়ুন