বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাদের নেতৃত্বে হতে যাওয়া জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত থাকছে না বিএনপি। দলটি নিজেরাই অভ্যুত্থানের একটি ঘোষণাপত্র তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ লক্ষ্যে বিএনপি যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর সঙ্গে এ নিয়ে প্রাথমিক আলাপ-আলোচনা সেরেছে।
দলটি মনে করছে, এটি অন্তবর্তী সরকারে পৃষ্ঠপোষকতায় ছাত্রদের একক ঘোষণাপত্র। এ প্রক্রিয়ার শুরু থেকে দায়সারা কাজ হয়েছে। যেখানে বিএনপির লড়াই-সংগ্রামের ইতিহাসকে কৌশলে আড়াল করার চেষ্টা চলছে। এক যুগের বেশি সময় ধরে দলটির নেতাকর্মীরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সম্মুখে লড়াই করেছে; বহু প্রাণ দিয়েছে। বিএনপি সমমনা দল ও শরিকদের নিয়ে নিখুঁতভাবে ঘোষণাপত্র প্রণনয় করতে চায়।
বিএনপির দায়িত্বশীল নেতা ও শরিকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে একটি ঘোষণাপত্র প্রকাশের ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। গত ২৯ ডিসেম্বর ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রকাশের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে সামনে আনে তারা। বছরের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর ওই ঘোষণাপত্র প্রকাশের কর্মসূচিও দেয় তারা। প্রথমে সরকার এর সঙ্গে যুক্ত না হলেও পরে এ প্রক্রিয়া শুরুর কথা জানায়। তখন ৩১ ডিসেম্বর ঘোষণাপত্র প্রকাশের কর্মসূচি বদল করে সরকার পতনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।.
পরে সরকার ঘোষণাপত্র তৈরির কাজ শুরু করে। এর অংশ হিসেবে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা শুরুর কথা বলেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে এই উপদেষ্টা বলেন, ঘোষণাপত্রটি কবে আসবে এবং এর ভেতরে কী কী কন্টেন্ট থাকবে সে বিষয়ে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারিনি। বৃহস্পতিবার আশা করি সবাই মিলে একটা সর্বদলীয় বৈঠক হবে।
তার আশা ওই বৈঠকে সবাই এ নিয়ে একমত হতে পারবেন। মাহফুজ বলেন, সরকার কীভাবে ঘোষণাপত্রটি জারি করবে সেটা বৈঠকের মাধ্যমে স্পষ্ট হবে। আশা করি বাংলাদেশের জনগণের ঘোষণাপত্রের মধ্য দিয়ে তাদের প্রত্যাশা প্রতিফলিত হবে।