সোমবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘আমাদের গণপরিবহন ব্যবস্থাকে সচল রেখে যানজট ও দুর্ঘটনা কমানো, শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ, বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। সেক্ষেত্রে আমাদের পুরো জিনিসটাকে ঢেলে সাজাতে হবে।’
গতকাল রোববার ২৬ জানুয়ারি রাজধানীর গ্রিন রোডের পানি ভবনে বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন পার্টনারশিপ কার্যকর করার লক্ষ্যে আয়োজিত এক কর্মশালার উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
পরিবেশ ও জলবায়ু রক্ষায় ইলেকট্রিক গাড়ি (ইভি) নামানোর কোনো চিন্তা আছে কিনা? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের সময় অল্প। কিন্তু জনগণের আকাঙ্ক্ষার চাপ আমাদের ওপর অনেক বেশি। অবশ্য, আমরা জনপ্রত্যাশার এই চাপ মেনে নেই। কারণ, জনগণের প্রত্যাশা যত সুতীক্ষ্ণ হবে, আমাদের কাজও তত বেশি ত্বরান্বিত হবে। তবে মুশকিল হচ্ছে… একটি সীমাবদ্ধ সময়ের মধ্যেই আমাদের কাজগুলো করতে হচ্ছে। ইভির বিষয়টিও দীর্ঘমেয়াদি।’
পরিবেশ মন্ত্রণালয় স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘চুনতি অভয়ারণ্যের বড় বড় পাহাড় কেটে বড় রেললাইন করা হয়েছে। আর এটাকে উন্নয়ন হিসেবে মেনে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এই পাহাড় কেটে যদি উন্নয়ন হয়, তাহলে পরিবেশ রক্ষার দায়িত্বে আলাদা কোনো মন্ত্রণালয় থেকে লাভ নেই। পরিবেশ মন্ত্রণালয়কে যদি তার স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে না দেওয়া হয় এবং উন্নয়নের চাপ ও উন্নয়নের সিদ্ধান্ত যদি পরিবেশ অধিদফতরের ওপরে চাপিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে পরিবেশ রক্ষা করা সম্ভব হবে না।’
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আমাদের কাজটাই হচ্ছে রেগুলেট (নিয়ন্ত্রণ) করা। কিন্তু আমরা যদি সেটি স্বাধীনভাবে করতে না পারি, তাহলে দেখা যাচ্ছে উন্নয়ন এবং পরিবেশের মধ্যে ভারসাম্য আনা যাবে না। আর উন্নয়নকে যদি প্রাধান্য দিয়ে পরিবেশকে সাব-সাবজেক্ট রাখা হয়, তাহলে যেরকম পরিবেশ আমরা চাই, সেটি পাব না।’
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদ থেকে কেউ রাজনৈতিক দল গঠন করছে কিনা সেটি আমার জানা নেই।’
অন্তর্বর্তী সরকারে নিরপেক্ষতার ইস্যু নিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপি নিজেই তো বলছে এখনো অনাস্থার কিছু নেই। ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে, সেটি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আগেই বলেছেন। এই সময়ের মধ্যেই সংস্কার শেষ হবে কিনা সেটি তো বলা যায় না।’
জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র নিয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের কেউই মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে না। একটি বিশেষ দল এই মুক্তিযুদ্ধকে ব্যবহার করেছে। মুক্তিযুদ্ধকে উপেক্ষা করে কিছুই (ঘোষণাপত্র নিয়ে) করা হবে না।