রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫
ফরচুন বরিশালের স্কোয়াড় এতটাই পরিপূর্ণ, শুরুর পাঁচ ম্যাচের একাদশে জায়গা পাননি ইংলিশ ব্যাটার দাউইদ মালান। ম্যাচের পর ম্যাচ সাইডব্যাঞ্চে বসে কাটানোর পর অবশেষ ষষ্ঠ ম্যাচে খেলার সুযোগ পান। সুযোগ পেয়েই জিতিয়েছেন দলকে।
টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের সাবেক এক নম্বর ব্যাটার বরিশালের একাদশে জায়গা না পাওয়ায় হতাশ হলেও কৃতজ্ঞ বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রতি। ক্রিকেট ক্যারিয়ারে মালান যা কিছু হতে পেরেছেন তার অনেকটাজুড়ে রয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)।
মালান কৃতজ্ঞ ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) প্রতিও। তিনি বলেছেন, এই লিগগুলোতে খেলার সুযোগ না পেলে ‘আজকের মালান’ হতে পারতেন না।
৩৭ বছর বয়সি মালান এখন আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেন না। তবে বিশ্বব্যাপী ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলছেন নিয়মিত। ইংল্যান্ডের হয়ে তিন সংস্করণে ১১৪ ম্যাচ খেলা মালান গত আগস্টে অবসর নেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে। বাঁহাতি এ ব্যাটারের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার মাত্র ৬ বছরের।
৩০ বছর বয়সে ইংল্যান্ডের জার্সিতে অভিষেক হওয়ার আগে নিয়মিত খেলতেন বিপিএল ও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার ক্ষেত্রে, কঠিন কন্ডিশনের জন্য ব্যাটার হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে যেসব বিষয় তাকে এগিয়ে নিয়েছে তার মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশের লিগে খেলা। তাই তো স্মরণ করেছেন বাংলাদেশকে।
চট্টগ্রামে ফরচুন বরিশালের অনুশীলনের একপর্যায়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মালান বলেন, ‘আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে বাংলাদেশের বিশেষ একটি অবস্থান আছে। এখানে আমি ১০-১১ বছর আগে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট খেলেছি।
পাকিস্তান সুপার লিগের মতো এই লিগও আমাকে ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজের উন্নতি ঘটাতে, ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনে ভালো করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে।’
মালান ডিপিএলে খেলেন প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ মৌসুমে। এরপর ২০১৫-১৬ মৌসুমে পিএসএলে খেলে ২০১৬-১৭ থেকে বিপিএলে খেলা শুরু করেন।
প্রথমবার বিপিএল খেলেন বরিশাল বুলসের হয়ে, পরে খেলেছেন খুলনা টাইটান্স ও কুমিল্লার হয়ে। এরপর ব্যস্ত হয়ে পড়েন জাতীয় দলের খেলা নিয়ে। ২০১৯ সালের পর আর বিপিএলে খেলেননি। এর মধ্যে ২০২০ সালে আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে ওঠেন, ২০২১ সালে খেলেন আইপিএলেও।
বিশ্বব্যাপী খেলে বেড়ানো মালানের আর কিছু পাওয়ার নেই। তবে বিশেষ করে বিপিএলের প্রতি তার কৃতজ্ঞতা, ‘আমি বিপিএল, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ এবং বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রতি সবসময়ই কৃতজ্ঞ, তারা আমাকে খেলার সুযোগ করে দিয়ে উন্নতি করতে সাহায্য করেছে।
এই সাহায্যটা না পেলে আমি যে খেলোয়াড় হয়ে উঠেছি, সেটা হয়তো হতে পারতাম না।’ ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে এ আসরে নিজের প্রথম ম্যাচটিতে ৪১ বলে খেলেন অপরাজিত ৪৯ রানের ইনিংস।