নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

বিমান কর্মকর্তা হত্যা মামলায় দুই আসামী গ্রেপ্তার।

এক ব্যক্তি ওসমান সিকদারের সঙ্গে ২৯ হাজার রিয়াল পাচার করতে দেন। কথা ছিল ইমিগ্রেশন পার হওয়া একজন যাত্রীর হাতে মুদ্রাগুলো তুলে দেয়ার। কিন্তু ওসমান সিকদার মুদ্রাগুলো ওই যাত্রীকে না দিয়ে নিজে আত্মসাৎ করেন। তিনি চক্রের অন্য সদস্যদের একটি গোয়েন্দা সংস্থার নাম বলে জানান যে, মুদ্রাগুলো গোয়েন্দারা নিয়ে গেছে। কিন্তু পরে বিমানবন্দরের কর্মচারী এবং চক্রের সদস্য ইব্রাহীম খলিল জানতে পারেন গোয়েন্দা সংস্থা কোনো মুদ্রা নেয়নি, সেগুলো ওসমান মেরে দিয়েছেন।

ইব্রাহীম বিষয়টি চক্রের অন্যদের জানিয়ে দিলে গত বুধবার রাত ৩টার দিকে ইব্রাহীম খলিলসহ ৫ জন একটি গাড়ি নিয়ে সিভিল এভিয়েশন আবাসিক এলাকাস্থ ওসমান সিকদারের বাসায় যান। তারা তাকে মুদ্রাগুলো ফেরত দিতে বলেন। কিন্তু ওসমান মুদ্রা ফেরত না দিয়ে বাড়াবাড়ি করলে কারা কারা মুদ্রা পাচারে জড়িত সব ফাঁস করে দেবেন বলে হুমকি দেন। এক পর্যায়ে ৫ জনে মিলে বাসার ভিতরেই ওসমান সিকদারকে বেধড়ক পেটানো শুরু করেন। দফায় দফায় পেটানোর ফলে এক পর্যায়ে তিনি নিথর হয়ে যান।

পরে ৫ জনে মিলে তাকে গাড়ির পেছনের ঢালায় ভরে বীচ এলাকায় নিয়ে লিংক রোডের পাশে ফেলে দিয়ে চলে যান। সেখান থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। লাশের মাথায় ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই এমরান সিকদার বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে গ্রেপ্তার ২ আসামি ইব্রাহীম খলিল, বাদল মজুমদার ও ফটিকছড়ির মোহাম্মদ রাসেল নামের এক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।মামলার এজাহারে বলা হয়, পূর্বের আর্থিক লেনদেনের জেরে খুন করা হয়েছে ওসমান সিকদারকে।

পুলিশ ও আদালত সূত্র জানায়, জবানবন্দীতে ইব্রাহীম খলিল নিজে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে সিভিল এভিয়েশনের আরো বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা কর্মচারীর নাম জানিয়েছেন। এরা সকলেই মুদ্রা পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তাদের কাজ হচ্ছে বিমানবন্দরের সব ধরনের তল্লাশি পার হওয়া নির্দিষ্ট যাত্রীর হাতে মুদ্রা পৌঁছে দেয়া। এর বিনিময়ে তারা নির্দিষ্ট অংকের হিস্যা পেয়ে থাকেন। সিভিল এভিয়েশন আবাসিক এলাকার বাসার ভিতরেই মুদ্রা লেনদেন হয় বলেও ইব্রাহীম খলিল জবানবন্দীতে উল্লেখ করেন।

মামলার বাদী ও নিহতের ভাই এমরান সিকদার বলেছেন, ফটিকছড়ির রাসেল তার ভাইকে হুমকি ও চাপ দেওয়ায় তার দাবি মোতাবেক কথা মতো ২৯ হাজার রিয়াল বাবদ ৯ লাখ টাকা দিয়ে দিয়েছেন। এরপরও তার ভাইকে খুন করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানতে পেরে  ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলেও সূত্র জানিয়েছে। ওই কমিটি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে বলেও সূত্র জানায়।

আরও পড়ুন