আমারদেশ২৪ ডেস্ক:
সোমবার ১০ মার্চ, ২০২৫
এখন থেকে কেউ মব জাস্টিস কিংবা কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে সঙ্গে সঙ্গে ওই স্থান থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
গতকাল রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।উপদেষ্টা বলেন, যে অপরাধী তাকে ঘটনাস্থলেই গ্রেফতার করব। আমরা একদিনও অপেক্ষা করব না। ওখান থেকেই তুলে নিয়ে আসব।
তিনি বলেন, বিভিন্ন স্থানে নারী নির্যাতন ও হয়রানির বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় আলোচনা হয়েছে। আইন হচ্ছে অন্ধ, অপরাধী যেই হোক না কেন তার জাত-পাত, বর্ণ দেখা হবে না। দেখা হবে না, তিনি নারী কী পুরুষ।
তিনি আরও বলেন, এই যে মব জাস্টিস, এখানে-ওখানে গিয়ে ডাকাতি, এর-ওর সম্পত্তি দখল বা এ জাতীয় যতগুলো ঝামেলা আছে, যতগুলো জটিলতা এই সমাজে তৈরি হয়েছে, অস্থিরতা এবং নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে, এখন থেকে এসব বিষয়ে জিরো টলারেন্স ভূমিকায় উত্তীর্ণ হবো। যেখানে মব জাস্টিস পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে, সে যেই হোন না কেন, সে যে ধর্মের যে লিঙ্গের যে বর্ণের হোন না কেন- এখন থেকে কঠোর ভূমিকায় অবতীর্ণ হবো। তাকে আইনের আওতায় নেওয়ার বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আমরা প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছি- সামনে কোন মব জাস্টিস পরিস্থিতি তৈরি হলে, থানা ঘেরাও থেকে শুরু করে কোনো ধরনের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে, আমরা কঠোর ভূমিকা রাখবো। গ্রেফতার থেকে শুরু করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা সেখানেই আমরা নেব। এ বিষয়ে সব স্টেকহোল্ডারদের বলে দেওয়া হয়েছে।
মাহফুজ আলম বলেন, আগে যেসব জায়গায় মব জাস্টিসের ঘটনা ঘটেছে, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মামলা হলে বা সরকারের দিক থেকেও আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে হয়রানির ঘটনায় অপরাধীকে থানায় দেওয়া হলো আবার তাকে ছাড়িয়ে এনে মালা পরানো হলো এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, বিষয়টা সবার কাছেই খারাপ লেগেছে। আসলে যিনি ভুক্তভোগী তিনি মামলাটা উঠিয়ে নিয়েছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা প্রত্যাহারের চিঠিসহ সব কাগজ আদালতে পাঠানো হলে জামিন দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, এখন সবার সন্দেহ উনি জোরপূর্বক এটা করেছেন কিনা। উপদেষ্টা বলেন, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সঙ্গে কথা বলবেন, তাকে বলবেন ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলতে। যদি ভয়ভীতি থেকে মামলা তুলে নিয়ে থাকেন তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে বলব তারা যেন মামলা করেন। কারণ আমরা সুষ্ঠুভাবে বিচার করতে বদ্ধপরিকর।
ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারলো না এটাতো আলাদা আরেকটা মামলা হতে পারতো এমন প্রশ্নের জবাবে মাহফুজ আলম বলেন, আইন হচ্ছে অন্ধ, যেই অপরাধী হন, তার জাতপাত, বর্ণ দেখা হবে না। লিঙ্গ দেখা হবে না, নারী কি পুরুষ। যিনি মব জাস্টিস করুন না কেন- ধার্মীক হোক, নিধার্মীক হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় নেওয়ার বিষয়ে আজকে থেকে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
শাহবাগের ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা নজরদারিতে আছে জানিয়ে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, গত ৭ থেকে ৮ মাসের যে যেখানেই ঝামেলা করেছে, যে যেখানে মব জাস্টিস করেছে- গোয়েন্দা সংস্থা সক্রিয় আছে। আমরা বলেছি আরও প্রো-অ্যাকটিভ ওয়েতে সবকিছু নজরদারিতে আনার জন্য। তিনি বলেন, আজ থেকে আমরা সমন্বিতভাবে সব তথ্য সংগ্রহ করে, যে অপরাধী গ্রেফতার করব।