গতকাল শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশিত এক স্ট্যাটাসে ফরহাদ মজহার তার এ মতামত তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন, সম্প্রতি সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করেছেন। যদিও এটি একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে মনে হতে পারে।
তবুও তার ইতিবাচক তাৎপর্য রয়েছে, যা দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
ফরহাদ মজহার আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের পর রাজনীতির বাস্তবতা মেরুকৃত হয়েছে, যা দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতির ওপর গভীর প্রভাব ফেলবে।
সেনাবাহিনী জনগণের পক্ষের শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এবং সাধারণ জনগণ সেনাবাহিনীর কাছ থেকে গৌরবময় ভূমিকা প্রত্যাশা করে।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে তিনটি প্রধান পক্ষ থাকবে-
১. গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী ছাত্র-জনতার শক্তি
২. বিএনপি এবং তার জোট, খালেদা জিয়ার জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে ভূমিকা
৩. সেনাবাহিনী, রাষ্ট্র সুরক্ষার প্রচলিত আদর্শে তাদের ভূমিকা।
ফরহাদ মজহার মনে করেন, এসব পক্ষের মধ্যে সমঝোতা বা বিরোধ আগামী দিনের রাজনীতির গতিপথ নির্ধারণ করবে। তবে তিনি উল্লেখ করেন, ইসলামি দলগুলো এখনও জাতীয় রাজনীতির নির্ধারক বয়ান নির্মাণে পিছিয়ে রয়েছে। ছাত্র-তরুণরা নতুন রাজনৈতিক বয়ান তৈরির চ্যালেঞ্জ সামনে রেখেছে।