নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

সর্বশেষ
বিচারপ্রার্থী মানুষের কল্যাণে, দেশের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে চট্টগ্রামে হাইকোর্ট বেঞ্চ। অভিনেত্রী হুমায়রার মরদেহ গ্রহণ করতে চায় না পরিবার। হয়রানিমূলক মামলা-গ্রেপ্তার ঠেকাতে ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধনের অধ্যাদেশ জারি। অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) শেখ হাসিনার কন্যাকে। মিটফোর্ডে হত্যার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে: আইন উপদেষ্টা।। ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকাডুবি: বড়বোন নিহত, নিখোঁজ ছোটবোন। বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত। নিউইয়র্কে বাঙালিয়ানা—কনস্যুলেটের আয়োজনে বাংলা নববর্ষ ও রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী উদযাপন। সংসদ নির্বাচনে আমাদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রয়েছে : বিজিবি মহাপরিচালক। ইতিহাসের বিশেষ ১টি সময় অতিবাহিত করছি: জামায়াত সেক্রেটারি।

ভারতে শেখ হাসিনার সঙ্গে কতদিন থাকবেন ছেলে জয়।

 

আমারদেশ২৪ নিউজ ডেস্ক:
বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ২০২৫sharethis sharing button

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে ভারতে রয়েছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সূত্রগুলো জানিয়েছে, পবিত্র ঈদুল আজহার আগের দিন ৬ জুন সজীব ওয়াজেদ জয় ভারতে আসেন। মায়ের সঙ্গেই ঈদ উদ্‌যাপন করেছেন তিনি।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সজীব ওয়াজেদ জয়ে সফর যতটা না রাজনৈতিক, তার থেকেও বেশি পারিবারিক। মায়ের সঙ্গে ঈদ উদ্‌যাপন করার জন্যই ভারতে এসেছেন তিনি। জয় যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন, কিন্তু তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছিল। তবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ওই পাসপোর্ট বাতিল করে দেয়।
তারা আরও জানান, সজীব ওয়াজেদ জয় সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট পেয়েছেন। পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার কয়েক দিন আগেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ড পান। গ্রিন কার্ড পাওয়ার পর থেকেই সজীব ওয়াজেদ জয়ের ভারত ভ্রমণ নিয়ে আলোচনা চলছিল। ভারতের সূত্রগুলোও এমন তথ্য দিয়েছে।
ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থার সূত্রগুলো জানাচ্ছে যে, প্রাথমিকভাবে মাস কয়েক পরে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ভারতে আসার কথা ছিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও তার ভারতে আসার ব্যাপারে সবুজসংকেত দিয়েছিল। তবে সেই সফর এগিয়ে এনে ৬ জুন দিল্লিতে আসেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
নিরাপত্তা সংস্থার সূত্রগুলো বলছে, বিমানবন্দর থেকে যথাযথ নিরাপত্তা দিয়েই তাকে শেখ হাসিনা যে গোপন ঠিকানায় আছেন, সেখানে পৌঁছে দেওয়া হয়। ওই ঠিকানায় শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানাও রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে আওয়ামী লীগের কয়েকটি সূত্র।
ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থার সূত্রগুলো এ-ও জানিয়েছে যে ভিভিআইপিদের যেভাবে পাইলট কারসহ সামরিক পোশাক পরিহিত নিরাপত্তারক্ষীদের ঘেরাটোপে নিয়ে যাওয়া হয়, ঠিক সেভাবে সজীব ওয়াজেদ জয়কে বিমানবন্দর থেকে নেওয়া হয়নি। তবে কড়া নিরাপত্তা ছিল, আর পুরোটাই করা হয়েছে অত্যন্ত গোপনে।
পারিবারিক সফর
আওয়ামী লীগের যেসব নেতা এখন ভারতে রয়েছেন, তাদের মধ্যে একাধিজন বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন যে সজীব ওয়াজেদ জয়ের এই ভারত সফর মূলত পারিবারিক।
এক শীর্ষ নেতা বলছিলেন, ‘মায়ের সঙ্গে এত মাস পর ছেলের দেখা হয়েছে। তারা ঈদ কাটিয়েছেন একসঙ্গে, গত কয়েক দিন একসঙ্গেই আছেন। নিশ্চয়ই রাজনৈতিক আলোচনাও হয়েছে কিছু। তবে জয়ের এ সফর বেশিটাই পারিবারিক সফর।’
কত দিন ভারতে থাকবেন জয়?
সূত্রগুলো জানাচ্ছে, শেখ হাসিনার কাছে এসে তার ছেলে পারিবারিক সময় কাটানোর সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা করছেন ঠিকই, তবে ভারতে থেকে গিয়ে দলের কাজকর্মে সশরীর যোগ দেওয়ার অভিপ্রায় নেই সজীব ওয়াজেদ জয়ের।
একটা সময়ে অবশ্য শোনা গিয়েছিল যে ভারত সফরে এসে সজীব ওয়াজেদ জয় কলকাতায়ও আসতে পারেন। কলকাতা ও তার আশপাশের অঞ্চলেও যেহেতু আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা, সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা থাকছেন এবং এই অঞ্চলেই রয়েছেন বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসা আওয়ামী ঘনিষ্ঠ অনেক ব্যবসায়ী, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা, আইনজীবী প্রমুখ, তাই কলকাতায় এসে তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন সজীব ওয়াজেদ জয়—এ রকমটা জানা যাচ্ছিল।
এখন ভারতের নিরাপত্তা সংস্থার সূত্রগুলো বলছে, অন্তত এবার তার কলকাতায় আসার কোনো পরিকল্পনা নেই।
আবার আওয়ামী লীগের সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, দীর্ঘ সময় ভারতে থাকার পরিকল্পনা নেই তার। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি হয়তো ফিরে যাবেন। সূত্র : বিবিসি বাংলা

আরও পড়ুন