নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৩০।

  বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারি ২০২৫

আগামী ১৯ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হতে যাওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণার পর বুধবার (১৫ জানুয়ারি) গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

আজ বৃহস্পতিবার পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আল-জাজিরা ও আনাদোলু এজেন্সি।নাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা সিটির আল-নাসর এলাকার একটি আবাসিক ব্লকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ ১৫ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল সূত্র।

এ ঘটনায় আরও অনেকে আহত হয়েছেন এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন।

ঘটনাস্থলে থাকা একজন সিভিল ডিফেন্স কর্মী ধ্বংসযজ্ঞের বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘ইসরায়েলি সেনাবাহিনী একটি আবাসিক ভবন লক্ষ্য করে হামলা চালায়, এতে বিপুল সংখ্যক হতাহত হয়, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আমরা এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে লাশ উদ্ধার করছি।

গাজার আল-আহলি আরব হাসপাতালের এক চিকিৎসক আক্রান্তের সংখ্যা অব্যাহত থাকার কথা জানিয়ে বলেছেন, ‘যুদ্ধবিরতির ঘোষণা সত্ত্বেও ইসরায়েলি বিমান হামলায় আহত হয়ে আসছে রোগীর। আমরা ইতোমধ্যে আহত আট শিশুর চিকিৎসা করেছি ‘

গাজার সিভিল ডিফেন্স অপর এক হামলা সম্পর্কে জানিয়েছে, গাজা সিটিতে হামলায় নাবেহ পরিবারের তিন সদস্য নিহত হয়েছেন।আরও দক্ষিণে, খান ইউনিসে, লাহাম পরিবারের বাড়ি লক্ষ্য করে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান হামলায় দুই ফিলিস্তিনি নিহত ও অন্যরা আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি প্যারামেডিকরা।

প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনের গাজার চলমান হামলা বন্ধে অবশেষে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হয়েছে দখলদার ইসরায়েল ও গাজার শাসক গোষ্ঠী হামাস। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) উভয় দেশই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।

আল-জাজিরা আরবিকে হামাস বলেছে, তাদের প্রতিনিধিদল মধ্যস্থতাকারীদের কাছে যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে। যদিও ইসরায়েল এখনও এই প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়া ঘোষণা করেনি।

এর আগে, কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি ঘোষণা করেন, কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীরা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছেন।

 

 

আরও পড়ুন