নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

যুবদল নেতার নেতৃত্বে ২ কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ।

twitter sharing button
মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে উপজেলায় রাস্তা থেকে দুই কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে এক যুবদল নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনা কাউকে না জানাতে ধর্ষণের ভিডিও করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নাঙ্গলকোটে উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের সেবাখোলা নামক স্থানে স’মিলে ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। রোববার দুপুরে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী দুই নারী বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ করেন বলে জানিয়েছেন নাঙ্গলকোট থানার ওসি। অভিযুক্তরা হলো- উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের যুবদল নেতা মো. মহসিন। সে বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের রঞ্জু মিয়ার ছেলে। অন্যজন স’মিলের মালিক খোকন মিয়া। বাকিদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।
ভুক্তভোগী ২ নারী জানান, আমাদের দুই বোনকে ১০ থেকে ১২ জন মিলে ১টি স’মিলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছিল। এর মধ্যে দুজন আমাদেরকে সবচেয়ে বেশি নির্যাতন করেছে। সবার মুখ দেখলেই চিনতে পারব আমি। স’মিলের মালিক ছিল। আমাদেরকে প্রথমে খালি রাস্তায় অটো রিকশায় করে নিয়ে বিভিন্ন রাস্তায় ঘোরাঘুরি করে। আমরা বুঝতে পারি তাদের উদ্দেশ্য ভালো না, তখন আমাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। কেউ ছিল না আশপাশে তখন।
পরে আমাদেরকে একটি রুমে নিয়ে যায়। সেখানে  আমাদের ধর্ষণ করে। পরে মারধর করে জোর করে ভিডিও করে। এ সময় আমি চিৎকার দিলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। হুমকি শুনে আমার বোন চুপ হয়ে যায়। দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে এসব চলে। স’মিলের মালিক সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। পরে আমাদেরকে তারা রাতেও রাখতে চায়। কিন্তু আমরা হাতে পায়ে ধরে তাদের থেকে ছাড়া পেয়েছি। আমাদেরকে অটোতে তুলে দিয়ে অটোওয়ালাকে হুমকি দিয়ে বলে সোজা আমাদেরকে চৌদ্দগ্রাম বাজারে নামিয়ে দিতে। এর মধ্যে কোথাও যেন না দাঁড়ায়। আমাদের সঙ্গে হওয়া অন্যায়ের বিচার চাই আমরা।
গত রোববার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়,২ কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় কেউ মুখ খুলতে চাচ্ছে না। স’মিলের মালিক খোকন মিয়া ঘটনার পরপর পলাতক। প্রধান অভিযুক্ত যুবদল নেতা  মহসিন এলাকা ছাড়া। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী জানায়, ঘটনা এলাকাতে জানাজানি হওয়ার পর মহসিনকে গ্রামে দেখা যাচ্ছে না। অপরাধী যেই হোক না কেন আমরা তার বিচার চাই।
মুঠোফোন অভিযুক্ত স’মিলের মালিক খোকন মিয়া বলেন, ‘জোরপূর্বকভাবে আমার স’মিলে ২ মেয়ে নিয়ে ঢুকে যুবদল নেতা মহসিন। এ সময় তার সঙ্গে আরও ১০ থেকে ১২ জন ছিল। আমি কিছু করিনি। তারাই সব করছে। আমাকে কল দিলে আমি বিষ খেয়ে মরে যাব।’ এ ছাড়া প্রধান অভিযুক্ত মহসিনকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে অভিযুক্ত মহসিনের পিতা রঞ্জু মিয়া বলেন, আমার ছেলে বিরুদ্ধে একটি গ্রুপ অপপ্রচার চালাচ্ছে। এর আগেও এলাকায় বিভিন্ন অপপ্রচার হয়। আমার ছেলে নির্দোষ।
নাঙ্গলকোট উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি শুনিনি। তবে কেউ যদি দলের নাম ব্যবহার এসব অপকর্ম করে, আমরা তার দায়ভার নেব না। অপরাধীকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হোক।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি একে ফজলুল হক বলেন, দুই কিশোরী পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। আমরা তাদের কাছে ঘটনা জানতে চাচ্ছি। বিস্তারিত পরে বলব।নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল আমিন সরকার বলেন, ওসিকে বলা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা মিললে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন