নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

লক্ষ্মীপুরে গুলিবিদ্ধ সেই শিশুটির অস্ত্রপচার সম্পন্ন।

আমারদেশ২৪ ডেস্কঃ
বুধবার, ২ এপ্রিল, ২০২৫
লক্ষ্মীপুরে গুলিবিদ্ধ ৬ বছরের শিশুটির অস্ত্রপচার সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার রাতেই শিশুটির অস্ত্রপচার হয়।আজ বুধবার (২ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. শিশির কুমার ঘোষ বলেন, গত রাতে খুবই ক্রিটিক্যাল অবস্থায় পেয়েছিলাম শিশুটিকে। তাৎক্ষণিকভাবে শিশুটির অস্ত্রোপচার করা হয়। বর্তমানে শিশুটি পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে আছে।
তিনি আরও বলেন, গুলিটি শিশুর পিঠ দিয়ে ঢুকে পেট দিয়ে বের হয়ে গেছে। তার কিডনি, লিভার, পাকস্থলি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সেগুলো রিপিয়ারিং করা হয়েছে। এখনও শিশুটির বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব না। শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বশিকপুর এলাকার কাচারি বাড়ির উঠানে খেলার সময় গুলিবিদ্ধ হয় আবিদা। রাতেই শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে স্বজনরা।
শিশু আবিদা আক্তারের মা আমেনা বেগম বলেন, চন্দ্রগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বশিকপুর এলাকায় তাদের বাড়ি। বশিকপুর নুরানী মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আবিদা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়ির উঠানে খেলা করছিলো আবিদা। এসময় গুলিবিদ্ধ হয় আবেদা। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
মা আমেনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, কেউ কেউ প্রচার করছে ২ গ্রুপের সংঘর্ষে আমার সন্তান আবিদা গুলিবৃদ্ধ হয়েছে কিন্তু এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। সন্ত্রাসী অহিদ শত্রুতার জেরে আমার শিশুকে পিছন দিক দিয়ে লক্ষ্য করে গুলি করে।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালের শিশু আবিদার চাচা ইউসুফকে হত্যা করে অহিদ। বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলো ইউসুফ আর অহিদ আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলো। সেই সময় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিলো তাই পুলিশ অহিদের বিরুদ্ধে মামলাও নেয়নি।
২৯ রমজানে বিএনপির তরফ থেকে লোকজন বাসায় গিয়ে নিহত ইউসুফের পরিবারকে সহযোগিতা করে। অহিদ সেটা সহ্য করতে পারেনি। লুকিয়ে থাকলেও হঠাৎ হঠাৎ বাসায় এসে অহিদ আমাদের হুমকি-ধামকি দেয় এবং ফাঁকা গুলি করে।
শিশুটির মা আমেনা অভিযোগ করে আরও বলেন, অহিদ আমাদের দূর সম্পর্কের আত্মীয়। একই বাড়িতে আমরা থাকি। সন্ত্রাসী অহিদ যখনই লুকিয়ে সে বাড়িতে প্রবেশ করে আমরা সবাই আশেপাশের লোকজনসহ দরজা-জানালা বন্ধ করে বাচ্চাদের নিয়ে ঘরের মধ্যে বসে থাকি।
ঘটনার সময় অহিদের সন্তান জেরিনের সঙ্গে আবিদা খেলা করছিল। তখন অহিদ পিছন দিক থেকে আমার মেয়েকে গুলি করে, যা আমি নিজে দেখেছি ঘরের জানালা দিয়ে।

আরও পড়ুন