নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫
লবণের পানিতে মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া ইন্দ্রপুল এলাকা। লবণবাহী ট্রাক থেকে ঝরে পড়া ক্ষারযুক্ত পিচ্ছিল পানির কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। গত এক মাসে ইন্দ্রপুলে ২০টি সড়ক দুর্ঘটনায় গুরতর আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক। যাদের বেশিরভাগই ছিল মোটরসাইকেল আরোহী।
পটিয়ার ইন্দ্রপুল লবণশিল্প এলাকায় রয়েছে শতাধিক লবণ কারখানা। সেখানে প্রতিদিন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল হতে শতশত ট্রাক করে আসা অপরিশোধিত লবণ আনলোড করা হয়।
বেশিভাগ লোড-আনলোডের কাজ চলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উপর। পানিযুক্ত অপরিশোধিত লবণের ক্ষারযুক্ত ঝরেপড়া পানি পিচ্ছিল ও স্যাঁতসেঁতে করে তুলছে ইন্দ্রপুল এলাকার প্রায় দুই কিলোমিটার মহাসড়ক। ফলে সড়কের চলাচলকারী যানবাহনগুলো প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে।
গত ফেব্রুয়ারির ২৫ তারিখ রাতে চন্দনাইশ উপজেলার গাছবাড়িয়া গ্রামের রফিকুল ফিরছিলেন শহর থেকে নিজ বাড়িতে। কিন্তু পটিয়া ইন্দ্রপুল এলাকার রাস্তা পিচ্ছিল থাকায় কক্সবাজার থেকে ফেরা একটি ভ্রমণ বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রফিকুলের মোটরসাইকেলকে জোড়ে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি।
চলতি মাসের ৩ তারিখ রাতে অভিসেন ও সুজন মিত্র নামের দুই বন্ধু মোটরসাইকেল করে যাচ্ছিলেন বিয়ের দাওয়াতে। মাজার গেইট এলাকায় লবণের পানি পড়ে রাস্তা এমনভাবে পিচ্ছিল হয়েছে তাদের গাড়িটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পেরে একটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। যার কারণেই ঘটনাস্থলে অভি সেন মারা যান। তার অপর বন্ধু সুজন মিত্রও গুরতর আহত অবস্থায় চমেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সন্তান সম্ভাবা স্ত্রী রহিমা বেগমকে নিয়ে মোটরসাইকেল করে চট্টগ্রাম শহর থেকে ফিরছিলেন সুজন নামের এক যুবক। ইন্দ্রপুলের পাশে আশরাফ আলীর শাহর মাজারের পাশে এলে তার মোটরসাইকেলের ব্রেক কষতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুইজনই রাস্তা থেকে ছিটকে পরে গুরুতর আহত হয়।