মঙ্গলবার ৭ জানুয়ারি ২৫
গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি জনপদ কুমারীর চাককাটা ঝিরি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
মৃত হাতিটির বয়স আনুমানিক ৩০ বছর হবে বলে ধারণা করছেন বন বিভাগ কর্মকর্তারা।
নিহত কৃষকের নাম ফরিদুল আলম (৪০)। তিনি চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের উত্তর ঘুনিয়া পাহাড়তলী এলাকার বাসিন্দা মৃত আলী আহমদের ছেলে।
লামা বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা এ. কে. এম আতা এলাহী জানান, বৈদ্যুতিক ফাঁদেই হাতিটির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে মৃত হাতিটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। এটির প্রাথমিক সুরতহাল ও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য হাতিটির অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হবে।
রেঞ্জ কর্মকর্তা বলেন, ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে সন্তান সম্ভবা হাতিটিকে বৈদ্যুতিক ফাঁদে ফেলে হত্যা করা হয়েছে নাকি, স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। আপাতত এ ঘটনায় রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অপরদিকে একশ গজের অনতিদূরে হাতিটির আক্রমণে কৃষক ফরিদুল আলমের মৃত্যু হতে পারে বলেও জানান রেঞ্জ কর্মকর্তা।
লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহাদাৎ হোসেন জানায়, হাতির আক্রমণে নিহত কৃষকের লাশ আজ মঙ্গলবার সকালে স্বজনদের কাছে হাস্তান্তর করা হয়েছে। হাতির মৃত্যুর ঘটনায় বন বিভাগ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ বিষয়ে লামা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বৈদ্যুতিক ফাঁদে হাতির মৃত্যুর সত্যতা পাওয়া গেলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি হাতির আক্রমণে নিহত কৃষক ফরিদুল আলমের পরিবারকে বন বিভাগের বিধি মোতাবেক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
চকরিয়ার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল হাতির আক্রমণে তাঁর এলাকার এক কৃষক নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিঁনি বলেন, রাতে পাহারা দেওয়ার সময় বন্য হাতির একটি পাল ধান ক্ষেতে নেমে পড়ে। এ সময় হাতিকে তাড়ানোর চেষ্টা করলে দলছুট একটি হাতি কৃষক ফরিদকে শুঁড় দিয়ে আছড়ে মেরে ফেলে।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মেহেরাজ বলেন, হাতির আক্রমণে নিহতের বিষয়টি জেনেছি। ঘটনাটি চকরিয়ার সীমান্তবর্তী লামা উপজেলায়। নিহত ব্যক্তির বাড়ি চকরিয়ায়।
